জবসের স্মরণীয় ১০ উক্তি
জবসের স্মরণীয় ১০ উক্তি
২০০৫ সালে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা থেকেই অধিকাংশ সময় বিভিন্ন উদ্ধৃতি দেওয়া হয়ে থাকে এবং সেগুলোর অংশবিশেষ ‘উক্তি’ হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
কিন্তু অনেকেরই হয়তো অজানা যে এই প্রযুক্তি গুরু জীবন ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে গিয়েছেন। সচরাচর শোনা যায় না, জবসের এরকম দশটি উক্তি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
চলুন পড়ে নেওয়া যাক সিএনএন প্রকাশিত জবসের সেই দশ উক্তি-
১. “আমার কাছে কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি অসাধারণ টুল যা আমরাই তৈরি করেছি। এটা মনের বাইসেকেলের সমতূল্য বললেও ভুল হবে না।” (চলচ্চিত্র ‘মেমোরি অ্যান্ড ইমাজিনেশন’ ১৯৯০)
২. “আমি অনেক কিছুই না কিনে বসে থাকি, কারণ আমার কাছে সেগুলো হাস্যকর মনে হয়েছে।” (দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট)।
৩. “আমি মনে করি মৃত্যু হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ উদ্ভাবন। এটি জীবন থেকে পুরোনো ও সেকেলে জিনিস থেকে মুক্ত করে। (প্লেবয় সাক্ষাৎকার, ১৯৮৫)
৪. “মানুষ মনে করে ফোকাস অর্থ হচ্ছে তাকে যে বিষয়টিতে মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে হ্যাঁ বলা। কিন্তু এর অর্থ উল্টো। এর অর্থ হচ্ছে অন্যান্য হাজারো ভাল আইডিয়াকে বিদায় জানানো। তবে এ কাজটি আপনাকে সতর্কভাবে করতে হবে। আমরা যে কাজগুলো করেছি, সেগুলোর জন্য আমি যতখানি গর্বিত, যে কাজগুলো করিনি সেগুলোর জন্যও আমি ঠিক ততোখানিই গর্বিত। উদ্ভাবন মানে হচ্ছে হাজারটা বিষয়কে না বলতে পারা।” (অ্যাপল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স, ১৯৯৭)।
৫. “কবরস্থানের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়া আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়..... রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় আমরা অসাধারণ কিছু করেছি বলতে পারাটা.... এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” (ফরচুন, ১৯৯৩)
৬. “মানুষের সঙ্গে সহজ ব্যবহার করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ হচ্ছে, মানুষকে দিয়ে আরও ভাল কিছু করানো।” (ফরচুন, ২০০৮)
৭. “আপনি যদি সৃজনশীল পথে আপনার জীবন কাটাতে চান, একজন শিল্পী হিসেবে, তাহলে আপনার পেছনের দিকে বেশি তাকানোটা ঠিক হবে না। আপনার মধ্যে ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি যা ছিলেন এবং আপনি যা করেছেন তা যেন ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন।” (প্লেবয়, ১৯৮৫)।
৮. “উদ্ভাবন নেতা এবং অনুসারীর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে।” (দ্য ইনোভেশন সিক্রেটস অফ স্টিভ জবস, ২০০১)
৯. ব্যবসার জন্য আমার মডেল হচ্ছে বিটলস। তারা চারজন ছিলেন যারা একে অপরের নেতিবাচক দিকগুলো সামলে রাখতেন। তারা একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখতেন এবং একক হিসেবে নয় সম্পূর্ণ হিসেবে তারা ছিলেন অসাধারণ। আমিও ব্যবসাকে ঠিক ওইভাবে দেখি: ব্যবসাতে বড় বড় কাজগুলো কখনও একজন ব্যক্তি একা করেন না। ওই কাজগুলো দলবদ্ধভাবে করা হয়।” (“৬০ মিনিটস”, ২০০৩)
১০. “সক্রেটিসের সঙ্গে একটি সন্ধ্যা কাটানোর জন্য আমি আমার সব প্রযুক্তি দিয়ে দিতে রাজি।” (নিউজউইক, ২০০১)।