মোবাইল ফোন তো অনেকেই ব্যবহার করছি! কিন্তু মোবাইলের ইতিহাস, সংজ্ঞা এবং আবিষ্কারক সম্পর্কে জানি কতটুকু? সাথে থাকছে মোবাইল প্রযুক্তির শ্রেণী বিভাগ, উপকারিতা সহ নানাবিধ তথ্যাদি!!

মোবাইল ফোন তো অনেকেই ব্যবহার করছি! কিন্তু মোবাইলের ইতিহাস, সংজ্ঞা এবং আবিষ্কারক সম্পর্কে জানি কতটুকু? সাথে থাকছে মোবাইল প্রযুক্তির শ্রেণী বিভাগ, উপকারিতা সহ নানাবিধ তথ্যাদি!!

কখনো ভেবেছেন!! মোবাইল এর সংজ্ঞা কি?

হ্যা ভাই বর্তমানে বিজ্ঞান তথা প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের মতই আর্শীবাদের আরেকটি প্রযুক্তি হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমানে তো এমন কিছু মোবাইল আছে যে গুলো একবারে বলা চলে পিসির কার্বন কপি। কারন কম্পিউটারের যাবতীয় কি করা যাচ্ছে না আপনার মোবাইল ডিভাইস যন্ত্রটির মাধ্যমে। প্রায় প্রত্যেকের হাতে হাতেই তো মোবাইল! তো আপনি বলতে পারবেন মোবাইল কি? অনেকেই হয়ত বলবেন ভাই বলতে না পারলেও এতটুকু জানি যে, বর্তমানে কেউ খাচ্ছে কিংবা মাথায় দিচ্ছে!!

যাইহোক মোবাইলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সাধারন ভাবে বলা যায়, মোবাইল ফোন হলো এক প্রকার টেলিকম ইলেকট্রনিক যন্ত্র, কিংবা সেলুলার ফোন বলা হয়। এটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেডিও ওয়েভ বা স্যাটেলাইট বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়ে বেতার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সংযোগ তৈরি করে। মুলত কণ্ঠ যোগাযোগ, ছোট ছোট বাক্য সেবা (এসএমএস), মাল্টিমিডিয়া বার্তা সেবা (এমএমএস), ইন্টারনেট সেবাসমূহ যেমন ওয়েব ব্রাউজ এবং ই-মেইল অপারেট করাতে সক্ষম থাকে। উল্লেখ্য মোবাইল ফোনকে সেল্যুলার ফোনও বলা হয়ে থাকে।

 আভিধানিক অর্থ

ধারনা করা হয় ইংরেজী MOVE শব্দ হতে মোবাইল ফোন শব্দটি এছেসে। MOVE শব্দটি বাংলা অর্থ সরানো, নাড়ানো, চলমান ইত্যাদি। তাই চলমান অবস্থায় তারহীন যে ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মোবাইল ফোন বলে।তারপরেও বিস্তারিত জানতে আপনারা একটু উইকপিডিয়াতে ঢুঁ মারতে পারেন এখানে।

 মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে?

ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১  কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।
(ডঃ মার্টিন কুপার)
Cave Radio ধারণার উদ্ভব হয় সেই ১৯০৮ সালে, যেটাকে সেলুলার ফোনের জন্মসূত্র ধরা হয়। যদিও বাস্তবের মোবাইল ফোন এসেছে অনেক দেরিতে। দুই বছর পর ১৯১০ সালে Lars Magnus Ericsson তার গাড়িতে টেলিফোন লাগিয় ফেলেন, ভ্রাম্যমান ফোন হিসেবে এটার নামই প্রথম আসে। যদিও Ericsson-এর ফোনটা ঠিক Radio Phone ছিলোনা। ভদ্রলোক তাঁর গাড়ি নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াতেন এবং প্রয়োজন হলেই গাড়ি থামিয়ে ফোনের সাথে লম্বা দুইটা তার লাগিয়ে নিতেন, তারপর National Phone Network ব্যবহার করে ফোন করার কাজ সারতেন !!
সমসাময়িক ইউরোপের ট্রেনগুলোতে প্রথম শ্রেনীর যাত্রীরা Radio Telephone ব্যবহারের সুযোগ পেতেন। এই সুবিধা ছিলো বার্লিন থেকে হামবুর্গ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। একই সময় বিমানের যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে রেডিও টেলিফোন সুবিধা পেতেন। এ জাতীয় ফোনের ব্যাপক ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। জার্মানী মূলত ব্যাপক প্রচলন ঘটায়। সৈন্যরা যোগাযোগের জন্যে এটাকে ব্যবহার করত।
(প্রথম সেলুলার ফোন হাতে মার্টিন কুপার)
আমরা যে মোবাইল ফোন কে চিনি তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। আজকের বিখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানী মটরোলার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সেলুলার ফোন। নাম দেওয়া হয় DynaTAC 8000X। মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ফোনটাতে কোনো ডিসপ্লে ছিলোনা। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মটরোলার কর্মকর্তা Dr. Martin Cooper বেল ল্যাবস-এর কর্মকর্তা Dr. Joels Engel-এর সাথে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আর মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে যায় এই দুই বিজ্ঞানী, মটরোলা আর বেল ল্যাবস-এর নাম। অবশ্য Radio Telephone System-এর আবিস্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার আর তাঁর গুরু Motorola Portable Communication Products-এর চীফ John F. Michel নাম US Patent-এ (Patent no. 3,906,166) লিপিবদ্ধ হয় ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে।এটা বানিজ্যিক ভাবে মার্কেটে ছাড়া হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।আর ১৯৯০সালেই এর ব্যবহারকারীর সংখা ১২.৪ মিলিয়নে পৌছে যায়। কিন্তু ২০১৪/০৪/১৫ পর্যন্ত সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারির সংখা ১০ বিলিয়নে।
এটা হল আধুনিক মোবাইলের কথা।তবে বিশ্বে প্রথম ফোনটা করা হয়ে ছিল,আমেরিকায় ১৯৪৬ সালের ১৭ই জুন।এবং তা একটা গাড়ি থেকে করা হয়ে ছিল।যার ওজন ছিল ৮০ পাউন্ড।মানে প্রায় এক মণ।তখন খরচ ছিল প্রতি মাসে ফিস ২১০০টাকা (আজকের দিনে ২৪০০০ প্রায়) আর প্রতি মিনিটের বিল ছিল ২১-২৮ টাকা। আজকের দিনের(২৩৫-৩১৫টাকা প্রায়)। অবশ্য জেনারেশন ভিত্তিক মোবাইল ফোনের ইতিহাস বেশ কয়েকটা অংশে বিভক্ত আছে (যেমনঃ 1G, 2G, 2.5G, 2.75G, 3G, 4G)। বর্তমানে আমাদের দেশে ২ জির পর ৩ জি চালু হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ৪ জি তো চলছেই উপরন্তু ৫জি চালু করার প্রস্ততুতি চলছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে এয়ারটেল ইন্ডিয়া ৪ জি সেবা চালু করেছে।

মোবাইল ফোনের প্রকারভেদ

  • বেসিক মোবাইল ফোন।
  • মিউজিক মোবাইল ফোন।
  • ক্যামেরা মোবাইল ফোন।
  • ভিডিও মোবাইল ফোন।
  • স্মার্ট মোবাইল ফোন।

সংক্ষেপে আলোচনাঃ

ক। বেসিক ফোনঃ

নামেই বুঝতেই পারছেন বেসিক ফোন কি জিনিসরে ভাই! হ্যা এটি একটি সাধারন মানের ফোন। দেখতেও তেমন চৌকস নই। বাংগালী অর্থে বলবেন যে, গরীবিয়ানা ফোন। এই ফোন সেটের মাধ্যমে কথা বলা ব্যতিত অন্য কোন কাজ করা যায় না। মনে করে দেখুন প্রায় ১০ বছর পূর্বে আমাদের দেশের ৮০% ব্যবহারকারীই সাধারন মানের সেট ব্যবহার করত। তখন একটি সাধারন মানের সেট ক্রয় করতে গিয়ে আজকের দিনের একটি অ্যান্ড্রয়েড সেট ক্রয় করা হত। সাধরন সেটের মধ্য অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে  নোকিয়া ১১০০। বাংলাদেশে এর দাম ছিল প্রায় ৬৫০০/- মত। অবশ্য আমার জীবণের ১ম সেট হিসাবে এটি ব্যবহার করেছি। এবং স্মৃতি হিসাবে সেটটি এখনো সংরক্ষিত হিসাবে রেখেছি।

 খ। মিউজিক, ক্যামেরা ও ভিডিও মোবাইল ফোন

হ্যা পরবর্তী আপগ্রেডের সাথে সাধারন মোবাইল ফোন সেটের সাথে উক্ত বৈশিষ্ট্যবলী যোগ হতে শুরু করে। তখন এই ভাবে বাজারের সেট গুলোতে দেখা যায় যে, কোন সেটে ক্যামেরা সেট হয়েছে কিন্তু মিউজিক শোনার অপশন যোগ হয়নি। অপরদিকে মিউজিক.ভিডিও যোগ হয়েছে কিন্তু ক্যামেরা যোগ হয়নি। অর্থাত একটি বর্তমান থাকলে অন্যটি অনুপস্থিত থাকতে। তবে পরবর্তীতে এই সকল সুবিধাবলী মোবাইল সেটে সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে বাজারে আমরা প্রায় ৮০০৳-১৫০০৳ মধ্য সকল সুবিধা বিদ্যমান মোবাইল সেটগুলো পাচ্ছি। যেমন কিছুদিন পূর্বে আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামীন ফোন কাষ্টমার সেন্টার হইতে ১৪৫০৳ দ্বারা সিম্ফনী ডি ৫৪ আই মডেলের সেট নিই। সেখানে গান শোনা, রেডিও, ভিডিও, ক্যামেরা যুক্ত আছে। এমনকি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। তাহলে অনেকেই বলবেন এটা কি তাহলে স্মার্ট ফোনের বৈশিষ্ট্য! না ভাই! এটাকে স্মার্ট ফোন বলা যাবে না, তবে এর বাচ্ছা বলতে পারেন যা মাল্টিমিডিয়া ফোন হিসাবে পরিচিত।

 গ। স্মার্ট মোবাইল ফোন

হুম মাল্টিমিডিয়া ফোনের গুরু/আব্বা হলো স্মার্ট মোবাইল ফোন। মাল্টিমিডিয়া ফোনের সব সুবিধাই বিদ্যমান। কিন্তু এর সাথে আধুনিক কিছু সুযোগ সুবিধা যোগ আছে। যেমন: ওয়াই ফাই ব্যবহার, মডেম রাউটার হিসাবে ব্যবহার, ক্যামেরা অনেক উন্নত সর্বনিম্ন প্রায় ৩ মেগাপিক্সেল, টাচ স্কীন তাও আবার অনেক ক্ষেত্রে পিসির মতই এলইডি প্রকৃতির। তাছাড়া কাজের প্রয়োজনে অসংখ্যক অ্যাপস সুবিধা বিদ্যমান। এবং এই ফোন সেট গুলো ওয়েবক্যাম এমনকি ভিডিও রেকর্ডার হিসাওে কাজে লাগানো যায়। প্রকৃতভাবে স্মার্ট ফোন সেটগুলোর মূল্য অনেকক বেশী সর্বনিম্ন বাংলাদেশী টাকাতে ১৫০০০৳- ১,৫০০০০৳ পর্যন্ত। বিষেশত ব্রান্ডিং কোম্পানীর স্মার্ট ফোনসেট গুলো অনেক টেকশই ও বিশ্বস্ত।
স্মার্ট মোবাইল ফোনের মধ্য উল্লেখযোগ্য হল Samsung Galaxy, Black berry, Sony xperia, Lumia, Motorolla X-Gen, LG-G4 এবং বাংলাদেশের Walton Primo

মোবাইল ফোনের সুবিধা

  • সহজে পরিবহনযোগ্য।
  • যেকোন স্থান থেকে সংযোগ রক্ষা করা যায়।
  • USB পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
  • ভয়েজ মেইলের সুবিধা পাওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়।
  • অডিও, ভিডিও এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  • একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার করা যায়।
  • Bluetooth, WI-FI এর সুবিধা পাওয়া যায়।

 মোবাইল ফোন দ্বারা আপনি কি করতে পারবেন? এক নজরে চোখ বুলাই

মোবাইল এমন একটা আজব বাট প্রয়োজনীয় বস্তু যা বাংলাদেশের প্রায় সবাই চেনেন।এটা চেনেন না এমন একটা লোক ও মনে হয় আজকের দিনে খুজে পাওয়া যাবে না।
মোবাইল একটা ইলেট্রনিক্স যন্ত্র যা দুই প্রান্তের যোগাযোগে সাহায্য করে।এক পথে খবর বা ডাটা যায় আর অন্য পথে খবর বা ডাটা আসে।মানে আপনি যা বলবেন অন্য প্রান্ত থেকে তা শুনতে পারবে আবার অন্য প্রান্ত থেকে যা বলবে আপনিও তা শুনতে পারবেন।এটা এক ধরনের ফোন যাকে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে যেতে পারবেন।শুধু মাত্র নেটওয়ার্ক আর বিল থাকাটাই জরুরী।যাহেতু একে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে মুভ করতে পারবেন তাই এর নাম মুভ থেকে মোবাইল,আর জিনিসটা যাহাতু ফোন তাই নামটাও মোবাইল ফোন।


মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মোবাইল ফোনের ব্যবহার বিশ্বকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এর সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো দ্র্বত যোগাযোগ। মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে টেলিগ্রাফ বা টেলিফোনের সাহায্য নিতে হতো এবং তা ছিল ব্যয়বহুল ও অনেকটা ঝামেলাপূর্ণ। বর্তমানে মোবাইল ফোন কথা বলা ছাড়াও যেসব কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা হলোঃ

ডিজিটাল ক্যামেরা

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছবি তুলে সেটা সংরৰণ করে রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্য মোবাইলেও পাঠানো যায়। বর্তমান প্রযুক্তির থ্রি-জি এবং ফোর-জি মোবাইলগুলোতে যেসব ডিজিটাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা আছে তা দিয়ে অনায়াসে যে কোনো ধরনের ছবি তোলা সম্ভব।

অডিও রেকর্ডার

মোবাইল ফোনের যে কোনো অডিও রেকর্ডও সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিছু মোবাইল সরাসরি কথোপকথন রেকর্ড করতে সৰম।

ভিডিও রেকর্ডার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে আনলিমিটেড ভিডিও রেকর্ডিং থাকায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিংয়ের (এমএমএস) মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ধারণকৃত অডিও বা ভিডিও অন্য মোবাইলে স্থানান্তর করা সম্ভব।

ই-মেইল ব্যবহার

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ই-মেইলের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে সহজে বার্তা আদান-প্রদান করা সম্ভব।

ইন্টারনেট ব্যবহার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা থাকছে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ এখন মোবাইলেই করা সম্ভব হচ্ছে

ভিডিও গেম সুবিধা

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনোদন এবং সময় কাটানোর উৎস হিসাবে ভিডিও গেমস্‌ এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

উপাত্ত পর্যবেক্ষণ

আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকেই এখন অফিসের সব তথ্য আদান-প্রদান এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

গান শোনা

মোবাইলে গান সংরৰণ সুবিধা থাকায় এমপি থ্রি ও এমপি ফোরের মাধ্যমে যে কোনো গান শোনা যায়। এতে সময়ও কাটে, মনও ভালো থাকে।

টিভি দেখা

নেক্সট জেনারেশন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানও সরাসরি দেখা যায়।

বারকোড রিডার

কয়েক প্রকার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এখন বিভিন্ন পণ্যের বারকোড পড়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করা যাচ্ছে।

সার কথা

 সময়ের পরিক্রমায় মোবাইল ফোন প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়ে পড়েছে। দ্রুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এখন অপরিহার্য। নানান সুবিধা রয়েছে মোবাইল ফোনে। চাইলেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি কিছু অপব্যবহারও হচ্ছে। তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ এর ব্যবহারকারীর। তথাপি নিজেদেরও সচেনতার প্রয়োজন রয়েছে। আজকের টিউনের আলোচনা অনুযায়ী মোবাইলের সংজ্ঞা, ইতিহাস সহ উপকারিতার দিক হইতে নানাবিধ তথ্যাদি জানতে পারলাম। আগামী কালকের টিউনে মোবাইল প্রযুক্তির অপব্যবহার ও  প্রতিকারের বিষয় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। -আল্লাহ্ হাফেজ-

 বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে নক করতে পারেন -

Post a Comment

মোট পাতাদর্শিত

Saturday, November 28, 2015

মোবাইল ফোন তো অনেকেই ব্যবহার করছি! কিন্তু মোবাইলের ইতিহাস, সংজ্ঞা এবং আবিষ্কারক সম্পর্কে জানি কতটুকু? সাথে থাকছে মোবাইল প্রযুক্তির শ্রেণী বিভাগ, উপকারিতা সহ নানাবিধ তথ্যাদি!!

কখনো ভেবেছেন!! মোবাইল এর সংজ্ঞা কি?

হ্যা ভাই বর্তমানে বিজ্ঞান তথা প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারের মতই আর্শীবাদের আরেকটি প্রযুক্তি হচ্ছে মোবাইল ফোন। বর্তমানে তো এমন কিছু মোবাইল আছে যে গুলো একবারে বলা চলে পিসির কার্বন কপি। কারন কম্পিউটারের যাবতীয় কি করা যাচ্ছে না আপনার মোবাইল ডিভাইস যন্ত্রটির মাধ্যমে। প্রায় প্রত্যেকের হাতে হাতেই তো মোবাইল! তো আপনি বলতে পারবেন মোবাইল কি? অনেকেই হয়ত বলবেন ভাই বলতে না পারলেও এতটুকু জানি যে, বর্তমানে কেউ খাচ্ছে কিংবা মাথায় দিচ্ছে!!

যাইহোক মোবাইলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে সাধারন ভাবে বলা যায়, মোবাইল ফোন হলো এক প্রকার টেলিকম ইলেকট্রনিক যন্ত্র, কিংবা সেলুলার ফোন বলা হয়। এটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেডিও ওয়েভ বা স্যাটেলাইট বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করা হয়ে বেতার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সংযোগ তৈরি করে। মুলত কণ্ঠ যোগাযোগ, ছোট ছোট বাক্য সেবা (এসএমএস), মাল্টিমিডিয়া বার্তা সেবা (এমএমএস), ইন্টারনেট সেবাসমূহ যেমন ওয়েব ব্রাউজ এবং ই-মেইল অপারেট করাতে সক্ষম থাকে। উল্লেখ্য মোবাইল ফোনকে সেল্যুলার ফোনও বলা হয়ে থাকে।

 আভিধানিক অর্থ

ধারনা করা হয় ইংরেজী MOVE শব্দ হতে মোবাইল ফোন শব্দটি এছেসে। MOVE শব্দটি বাংলা অর্থ সরানো, নাড়ানো, চলমান ইত্যাদি। তাই চলমান অবস্থায় তারহীন যে ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মোবাইল ফোন বলে।তারপরেও বিস্তারিত জানতে আপনারা একটু উইকপিডিয়াতে ঢুঁ মারতে পারেন এখানে।

 মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে?

ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ১  কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন।
(ডঃ মার্টিন কুপার)
Cave Radio ধারণার উদ্ভব হয় সেই ১৯০৮ সালে, যেটাকে সেলুলার ফোনের জন্মসূত্র ধরা হয়। যদিও বাস্তবের মোবাইল ফোন এসেছে অনেক দেরিতে। দুই বছর পর ১৯১০ সালে Lars Magnus Ericsson তার গাড়িতে টেলিফোন লাগিয় ফেলেন, ভ্রাম্যমান ফোন হিসেবে এটার নামই প্রথম আসে। যদিও Ericsson-এর ফোনটা ঠিক Radio Phone ছিলোনা। ভদ্রলোক তাঁর গাড়ি নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াতেন এবং প্রয়োজন হলেই গাড়ি থামিয়ে ফোনের সাথে লম্বা দুইটা তার লাগিয়ে নিতেন, তারপর National Phone Network ব্যবহার করে ফোন করার কাজ সারতেন !!
সমসাময়িক ইউরোপের ট্রেনগুলোতে প্রথম শ্রেনীর যাত্রীরা Radio Telephone ব্যবহারের সুযোগ পেতেন। এই সুবিধা ছিলো বার্লিন থেকে হামবুর্গ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। একই সময় বিমানের যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে রেডিও টেলিফোন সুবিধা পেতেন। এ জাতীয় ফোনের ব্যাপক ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। জার্মানী মূলত ব্যাপক প্রচলন ঘটায়। সৈন্যরা যোগাযোগের জন্যে এটাকে ব্যবহার করত।
(প্রথম সেলুলার ফোন হাতে মার্টিন কুপার)
আমরা যে মোবাইল ফোন কে চিনি তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। আজকের বিখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানী মটরোলার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সেলুলার ফোন। নাম দেওয়া হয় DynaTAC 8000X। মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ফোনটাতে কোনো ডিসপ্লে ছিলোনা। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মটরোলার কর্মকর্তা Dr. Martin Cooper বেল ল্যাবস-এর কর্মকর্তা Dr. Joels Engel-এর সাথে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আর মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে যায় এই দুই বিজ্ঞানী, মটরোলা আর বেল ল্যাবস-এর নাম। অবশ্য Radio Telephone System-এর আবিস্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার আর তাঁর গুরু Motorola Portable Communication Products-এর চীফ John F. Michel নাম US Patent-এ (Patent no. 3,906,166) লিপিবদ্ধ হয় ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে।এটা বানিজ্যিক ভাবে মার্কেটে ছাড়া হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।আর ১৯৯০সালেই এর ব্যবহারকারীর সংখা ১২.৪ মিলিয়নে পৌছে যায়। কিন্তু ২০১৪/০৪/১৫ পর্যন্ত সালে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারির সংখা ১০ বিলিয়নে।
এটা হল আধুনিক মোবাইলের কথা।তবে বিশ্বে প্রথম ফোনটা করা হয়ে ছিল,আমেরিকায় ১৯৪৬ সালের ১৭ই জুন।এবং তা একটা গাড়ি থেকে করা হয়ে ছিল।যার ওজন ছিল ৮০ পাউন্ড।মানে প্রায় এক মণ।তখন খরচ ছিল প্রতি মাসে ফিস ২১০০টাকা (আজকের দিনে ২৪০০০ প্রায়) আর প্রতি মিনিটের বিল ছিল ২১-২৮ টাকা। আজকের দিনের(২৩৫-৩১৫টাকা প্রায়)। অবশ্য জেনারেশন ভিত্তিক মোবাইল ফোনের ইতিহাস বেশ কয়েকটা অংশে বিভক্ত আছে (যেমনঃ 1G, 2G, 2.5G, 2.75G, 3G, 4G)। বর্তমানে আমাদের দেশে ২ জির পর ৩ জি চালু হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ৪ জি তো চলছেই উপরন্তু ৫জি চালু করার প্রস্ততুতি চলছে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে এয়ারটেল ইন্ডিয়া ৪ জি সেবা চালু করেছে।

মোবাইল ফোনের প্রকারভেদ

  • বেসিক মোবাইল ফোন।
  • মিউজিক মোবাইল ফোন।
  • ক্যামেরা মোবাইল ফোন।
  • ভিডিও মোবাইল ফোন।
  • স্মার্ট মোবাইল ফোন।

সংক্ষেপে আলোচনাঃ

ক। বেসিক ফোনঃ

নামেই বুঝতেই পারছেন বেসিক ফোন কি জিনিসরে ভাই! হ্যা এটি একটি সাধারন মানের ফোন। দেখতেও তেমন চৌকস নই। বাংগালী অর্থে বলবেন যে, গরীবিয়ানা ফোন। এই ফোন সেটের মাধ্যমে কথা বলা ব্যতিত অন্য কোন কাজ করা যায় না। মনে করে দেখুন প্রায় ১০ বছর পূর্বে আমাদের দেশের ৮০% ব্যবহারকারীই সাধারন মানের সেট ব্যবহার করত। তখন একটি সাধারন মানের সেট ক্রয় করতে গিয়ে আজকের দিনের একটি অ্যান্ড্রয়েড সেট ক্রয় করা হত। সাধরন সেটের মধ্য অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে  নোকিয়া ১১০০। বাংলাদেশে এর দাম ছিল প্রায় ৬৫০০/- মত। অবশ্য আমার জীবণের ১ম সেট হিসাবে এটি ব্যবহার করেছি। এবং স্মৃতি হিসাবে সেটটি এখনো সংরক্ষিত হিসাবে রেখেছি।

 খ। মিউজিক, ক্যামেরা ও ভিডিও মোবাইল ফোন

হ্যা পরবর্তী আপগ্রেডের সাথে সাধারন মোবাইল ফোন সেটের সাথে উক্ত বৈশিষ্ট্যবলী যোগ হতে শুরু করে। তখন এই ভাবে বাজারের সেট গুলোতে দেখা যায় যে, কোন সেটে ক্যামেরা সেট হয়েছে কিন্তু মিউজিক শোনার অপশন যোগ হয়নি। অপরদিকে মিউজিক.ভিডিও যোগ হয়েছে কিন্তু ক্যামেরা যোগ হয়নি। অর্থাত একটি বর্তমান থাকলে অন্যটি অনুপস্থিত থাকতে। তবে পরবর্তীতে এই সকল সুবিধাবলী মোবাইল সেটে সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে বাজারে আমরা প্রায় ৮০০৳-১৫০০৳ মধ্য সকল সুবিধা বিদ্যমান মোবাইল সেটগুলো পাচ্ছি। যেমন কিছুদিন পূর্বে আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামীন ফোন কাষ্টমার সেন্টার হইতে ১৪৫০৳ দ্বারা সিম্ফনী ডি ৫৪ আই মডেলের সেট নিই। সেখানে গান শোনা, রেডিও, ভিডিও, ক্যামেরা যুক্ত আছে। এমনকি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। তাহলে অনেকেই বলবেন এটা কি তাহলে স্মার্ট ফোনের বৈশিষ্ট্য! না ভাই! এটাকে স্মার্ট ফোন বলা যাবে না, তবে এর বাচ্ছা বলতে পারেন যা মাল্টিমিডিয়া ফোন হিসাবে পরিচিত।

 গ। স্মার্ট মোবাইল ফোন

হুম মাল্টিমিডিয়া ফোনের গুরু/আব্বা হলো স্মার্ট মোবাইল ফোন। মাল্টিমিডিয়া ফোনের সব সুবিধাই বিদ্যমান। কিন্তু এর সাথে আধুনিক কিছু সুযোগ সুবিধা যোগ আছে। যেমন: ওয়াই ফাই ব্যবহার, মডেম রাউটার হিসাবে ব্যবহার, ক্যামেরা অনেক উন্নত সর্বনিম্ন প্রায় ৩ মেগাপিক্সেল, টাচ স্কীন তাও আবার অনেক ক্ষেত্রে পিসির মতই এলইডি প্রকৃতির। তাছাড়া কাজের প্রয়োজনে অসংখ্যক অ্যাপস সুবিধা বিদ্যমান। এবং এই ফোন সেট গুলো ওয়েবক্যাম এমনকি ভিডিও রেকর্ডার হিসাওে কাজে লাগানো যায়। প্রকৃতভাবে স্মার্ট ফোন সেটগুলোর মূল্য অনেকক বেশী সর্বনিম্ন বাংলাদেশী টাকাতে ১৫০০০৳- ১,৫০০০০৳ পর্যন্ত। বিষেশত ব্রান্ডিং কোম্পানীর স্মার্ট ফোনসেট গুলো অনেক টেকশই ও বিশ্বস্ত।
স্মার্ট মোবাইল ফোনের মধ্য উল্লেখযোগ্য হল Samsung Galaxy, Black berry, Sony xperia, Lumia, Motorolla X-Gen, LG-G4 এবং বাংলাদেশের Walton Primo

মোবাইল ফোনের সুবিধা

  • সহজে পরিবহনযোগ্য।
  • যেকোন স্থান থেকে সংযোগ রক্ষা করা যায়।
  • USB পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
  • ভয়েজ মেইলের সুবিধা পাওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়।
  • অডিও, ভিডিও এর সুবিধা পাওয়া যায়।
  • একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার করা যায়।
  • Bluetooth, WI-FI এর সুবিধা পাওয়া যায়।

 মোবাইল ফোন দ্বারা আপনি কি করতে পারবেন? এক নজরে চোখ বুলাই

মোবাইল এমন একটা আজব বাট প্রয়োজনীয় বস্তু যা বাংলাদেশের প্রায় সবাই চেনেন।এটা চেনেন না এমন একটা লোক ও মনে হয় আজকের দিনে খুজে পাওয়া যাবে না।
মোবাইল একটা ইলেট্রনিক্স যন্ত্র যা দুই প্রান্তের যোগাযোগে সাহায্য করে।এক পথে খবর বা ডাটা যায় আর অন্য পথে খবর বা ডাটা আসে।মানে আপনি যা বলবেন অন্য প্রান্ত থেকে তা শুনতে পারবে আবার অন্য প্রান্ত থেকে যা বলবে আপনিও তা শুনতে পারবেন।এটা এক ধরনের ফোন যাকে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে যেতে পারবেন।শুধু মাত্র নেটওয়ার্ক আর বিল থাকাটাই জরুরী।যাহেতু একে নিয়ে আপনি যাকোন স্থানে মুভ করতে পারবেন তাই এর নাম মুভ থেকে মোবাইল,আর জিনিসটা যাহাতু ফোন তাই নামটাও মোবাইল ফোন।


মোবাইল ফোনের ব্যবহার

মোবাইল ফোনের ব্যবহার বিশ্বকে হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। এর সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো দ্র্বত যোগাযোগ। মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে টেলিগ্রাফ বা টেলিফোনের সাহায্য নিতে হতো এবং তা ছিল ব্যয়বহুল ও অনেকটা ঝামেলাপূর্ণ। বর্তমানে মোবাইল ফোন কথা বলা ছাড়াও যেসব কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা হলোঃ

ডিজিটাল ক্যামেরা

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছবি তুলে সেটা সংরৰণ করে রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্য মোবাইলেও পাঠানো যায়। বর্তমান প্রযুক্তির থ্রি-জি এবং ফোর-জি মোবাইলগুলোতে যেসব ডিজিটাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা আছে তা দিয়ে অনায়াসে যে কোনো ধরনের ছবি তোলা সম্ভব।

অডিও রেকর্ডার

মোবাইল ফোনের যে কোনো অডিও রেকর্ডও সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিছু মোবাইল সরাসরি কথোপকথন রেকর্ড করতে সৰম।

ভিডিও রেকর্ডার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে আনলিমিটেড ভিডিও রেকর্ডিং থাকায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং

মাল্টিমিডিয়া মেসেজিংয়ের (এমএমএস) মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ধারণকৃত অডিও বা ভিডিও অন্য মোবাইলে স্থানান্তর করা সম্ভব।

ই-মেইল ব্যবহার

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ই-মেইলের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে সহজে বার্তা আদান-প্রদান করা সম্ভব।

ইন্টারনেট ব্যবহার

আধুনিক মোবাইল ফোনগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা থাকছে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ এখন মোবাইলেই করা সম্ভব হচ্ছে

ভিডিও গেম সুবিধা

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনোদন এবং সময় কাটানোর উৎস হিসাবে ভিডিও গেমস্‌ এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

উপাত্ত পর্যবেক্ষণ

আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকেই এখন অফিসের সব তথ্য আদান-প্রদান এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

গান শোনা

মোবাইলে গান সংরৰণ সুবিধা থাকায় এমপি থ্রি ও এমপি ফোরের মাধ্যমে যে কোনো গান শোনা যায়। এতে সময়ও কাটে, মনও ভালো থাকে।

টিভি দেখা

নেক্সট জেনারেশন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানও সরাসরি দেখা যায়।

বারকোড রিডার

কয়েক প্রকার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এখন বিভিন্ন পণ্যের বারকোড পড়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করা যাচ্ছে।

সার কথা

 সময়ের পরিক্রমায় মোবাইল ফোন প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়ে পড়েছে। দ্রুত যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন এখন অপরিহার্য। নানান সুবিধা রয়েছে মোবাইল ফোনে। চাইলেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি কিছু অপব্যবহারও হচ্ছে। তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ এর ব্যবহারকারীর। তথাপি নিজেদেরও সচেনতার প্রয়োজন রয়েছে। আজকের টিউনের আলোচনা অনুযায়ী মোবাইলের সংজ্ঞা, ইতিহাস সহ উপকারিতার দিক হইতে নানাবিধ তথ্যাদি জানতে পারলাম। আগামী কালকের টিউনে মোবাইল প্রযুক্তির অপব্যবহার ও  প্রতিকারের বিষয় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। -আল্লাহ্ হাফেজ-

 বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে নক করতে পারেন -

No comments:

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. free apple id - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger