Find My iPhone এর ব্যাপারে বিস্তারিতঃ এ্যাপটি যেভাবে কাজ করে

Find My iPhone এর ব্যাপারে বিস্তারিতঃ এ্যাপটি যেভাবে কাজ করে

এ্যাপেলের নিজস্ব এ্যাপ্লিকেশন ’ফাইন্ড মাই আইফোন’ এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের রিয়েল টাইম লোকেশন দেখতে পারবেন গুগল ম্যাপে। এমনকি চাইলে ফোনে বার্তা বা এলার্ট টোনও পাঠাতে পারবেন। ফোন হারিয়ে গেলে সেই ম্যাসেজের মাধ্যমে চোরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। যদি দেখন চোর কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না, তখন আপনি ঘরে বসেই আপনার আইফোনটির সমস্ত তথ্য মুছে দিতে পারবেন। এর সুবিধা হলো, চোর কিছুতেই আপনার ফোনটি আর ব্যবহার করতে পারবে না। সে না পারবে সেটা বিক্রি করতে, না পারবে নিজে ব্যবহার করতে। ফাইন্ড মাই আইফোন দিয়ে মেমরি ইরেজ করার পর সেটার একটিভেশন লক হয়ে যাবে। এর মানে হলো, মূল মালিক ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ আর সেই ফোন একটিভ করতে পারবে না। এমনকি স্বয়ং আপেলও কনা। তার মানে চোরের কাছে তখন দুটো মাত্র অপশন থাকে। ক) আইফোনটা আপনাকে ফেরত দেয়া। ২) সেটাকে পেপারওয়েট হিসেবে ব্যবহার করা অথবা শো পিস হিসেবে ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখা।
পুরো ব্যাপারটা কিভাবে কাজ করে, সে ব্যাপারে অনেকেরই হয়তো ধারনা নেই। তাছাড়া, সেটার বিস্তারিত বাংলা ভাষায় নেটের কোথাও লেখা নেই। এমনকি আমারও জানা ছিলো না। তাই ভাবলাম সেটা জেনে বাংলাতে একটু বিস্তারিত লেখা যাক। তো ফাইন্ড মাই আইফোন কিভাবে কাজ করে সেটা দেখার জন্য আমার পিসির ব্রাউজার দিয়ে আই ক্লাউডে ঢুকে লষ্ট মুডে গিয়ে আমার ফোনে একটা ম্যাসেজ পাঠালাম। বাংলাতে লিখলাম – ”আমি প্রলয় হাসান। আমার আইফোনটি হারানো গিয়েছে। আমার সাথে যোগাযোগের নম্বর....। আপনি ফোনটি ফেরত দিলে উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে। আপনার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। যদি ফেরত না দিন তবে এই ফোনটি আপনি কোনভাবেই আর ব্যবহার করতে পারবেন না।” ৫ সেকেন্ডের ভেতর হুবহু এই ম্যাসেজটিই স্পষ্ট বাংলা ফন্টে আমার ফোনের লক স্ক্রিনে আবিভূত হলো। ফোনের পাসকোড দিয়ে দিলেই ম্যাসেজটি মুছে যাচ্ছে। কিন্তু যখনি আবার পাস লকড হচ্ছে, তখনি আবার আর্বিভূত হচ্ছে। এভাবে ক্রমাগত হচ্ছে।
এরপর আমি এলার্ট টোন পাঠালাম আমার ফোনে। কয়েক সেকেন্ডের ভেতর তীক্ষ একটা আওয়াজ শুরু হলো আমার ফোনে এবং উপরে লেখা উঠলো iPhone Lost Alert. এরপর ফোনের পাসকোড দিতেই শব্দ এবং ম্যাসেজ দুটোই দূর হয়ে গেলো। [তার মানে, এই ম্যাসেজ বা টোনের হ্যাপা থেকে বাচঁতে হলে চোরকে অবশ্যই আমার চার ডিজিটের পাসকোড জানতে হবে। না জানলে, ম্যাসেজটি সরবে না এবং ক্রমাগত শব্দ হতে থাকবে। যতক্ষন ব্যাটারির চার্জ থাকবে আর কি!] আরেকটা ব্যাপার, লস্ট মুড এনাবেল করার সাথে সাথে আইফোনের লোকেশন ট্রাক করতে শুরু করে ফাইন্ড মাই আইফোন এ্যাপটি। মানে কোথায়, কতক্ষন ধরে কখন ফোনটা ম্যাপের কোন লোকেশনে ছিলো, সেটা দেখাতে থাকে। [গুগল ম্যাপে এই লোকশন দেখানোটা যথেষ্টই নিখুতঁ। একদম আমার মিরপুরের বাড়ীর রাস্তাটাই দেখায়।] এমনকি, আপনার হারানো ফোনে এখন কত পার্সেন্ট ব্যাটারি আছে, সেটাও আপনি আইক্লাউড থেকে দেখতে পারবেন। পুরো ব্যাপারটি জন্যে হারানো আইফোনকে ইন্টারনেটের সাথে যু্ক্ত থাকতে হবে। চোর যখনই আপনার ফোনটি ইন্টারনেটের সাথে যু্ক্ত করবে, তখনই আপনার পাঠানো ম্যাসেজ বা টোন আপনাআপনি আইফোনে চলে যাবে, সেটা যদি ১ বছর পরও হয়।
যাইহোক, সবশেষে আমি আমার আইফোনটির একটিভিশন লক এনাবেল করে দিলাম। একটিভিশন লক এনাবেল হবার পর আপনি গুগল ম্যাপে ফোনের কোন ট্রেস পাবেন না কারন ফোনের ভেতরে জিপিএস সিগন্যালের জন্য যে ডাটাগুলো ইনসটল করা হয়েছিলো, সেটাও মেমরির সাথে মুছে গিয়েছে। কিন্তু আমি চোরকে যে ম্যাসেজটি পাঠিয়েছিলাম, সেটা কিন্তু মুছে যায়নি বরং স্ক্রিনে ভেসে ছিলো।
আমি চোরের জাগায় থাকলে কি করতাম ভাবলাম। আমি চোরের জাগায় থাকলে প্রথমে ফোনটি রিকভার মুডে নিয়ে ফ্যাক্টরি সেটিংস দেবার চেস্টা করতাম। তাই এরপর আমার আইফোনটিকে রিকভার মুডে নিয়ে গেলাম। তারপর মেনুয়ালি রিসেট করা চেষ্টা করলাম। একটুপর যখনি ফোনের উপরে একটা ম্যাসেজ ভেসে উঠলো, in order to activate your iPhone, Connect it to iTunes, তখনি বুঝলাম যে আসল ঘটনা এখনই শুরু হবে। তো আইটিউনসের সাথে লাগানোর পর পরই নীচের দৃশ্যটি দেখতে পেলাম। যাদের আইফোন নিয়ে সামান্যতম ধারনা আছে, তারা এই ছবিটি দেখেই হয়ত বুঝতে পারছেন যে, চোরের আর কিছুই করার নেই এখানে। অলরেডি এটা একটা মৃত আইফোনে পরিনত হয়েছে যেটা দিয়ে শোপিস ছাড়া আর কোন কাজেই ব্যবহার করা যাবে না। উল্লেখ্য, পিসি বা ল্যাপটপে তখন নেট কানেকশন না থাকলে, আইফোন একটিভ হবে না। ফোন একটিভ করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন বাধ্যতামূলক। আর ইন্টারনেটসহ আইটিউনসে কানেক্ট করলেই চোর বিপদে পড়বে।
যা হোক, আমি কানেক্ট করলাম এবং এরপর এই ছবিটি আমার আইটিউনসের পর্দায় ভেসে উঠলো।
খেয়াল করে দেখুন, এখানে বলা হচ্ছে ঐ ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে যেটা দিয়ে এই আইফোনটিকে ইরেজ করে ফেলা হয়েছিলো। চোর এখানেই ধরা। কারন সে আপনার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড জানে না।  আর আইফোন একটিভেট করতে না পারলে এটার আর কোনই মূল্য নেই শো পিস ছাড়া।
আইফোন ৫ এস এ ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার। মানে আসল মালিক ছাড়া আর কারো হাতে সেটা খুলবে না। শুনছি আইওএস ৮ এ ক্লাউড থেকেই পাসকোড বদলানোর সুযোগ দেয়া হবে এবং চোরের অজ্ঞাতে তার ছবি তুলে আইক্লাউডে পাঠাবার চেষ্টা করবে আইফোন। ফ্রন্ট ক্যামেরা কিছুক্ষন পর পর ছবি তুলে পাঠাতে থাকবে।
অষ্ট্রেলিয়াতে দেখেছি, ফাইন্ড মাই আইফোন গুগল ম্যাপের যে ট্রেসিং পয়েন্ট দেখায়, সেটা প্রিন্ট করে থানায় জমা দিলেই পরদিন পুলিশ আসল মালিকের বাসায় এসে ফোন দিয়ে যায়। বাংলাদেশে তো আর সেটা সম্ভব না। আমি গুলশান থানার একজন তরুন পুলিশ অফিসারের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি, খুব এক্সট্রিম কেস (যেমনঃ খুন বা রেইপ) ছাড়া জিপিএস ট্রাকিং করে আইফোন খুজেঁ নিয়ে আসার মতো অত সময় বা সুযোগ ডিএমপির নাই। অথচ, এ্যাপেল এই এ্যাপটি বানিয়েছেই হারানো আইফোন ফেরত পাবার জন্য। সুতরাং, বাংলাদেশে আপনার আইফোন হারানো গেলে সেটা হয়তো আপনি ফিরে নাও পেতে পারেন, কিন্তু একটা ব্যাপারে আপনি সুনিশ্চিত থাকতে পারেন যে, চোরও সেটা আর ব্যবহার করতে পারবে না যদি আপনি ফাইন্ড মাই আইফোনকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে জানেন।
Find My iPhone এ্যাপটি আইফোনে বিল্ট ইন থাকে। চাইলে আলাদা করে নামাতেও পারেন। এ্যাপস্টোর থেকে এটা বিনামূল্যে নামানো যায়। এই অসাধারন এ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনার একটি iCloud একাউন্ট থাকতে হবে। [যে কেউ চাইলেই ফ্রি আই ক্লাউড একাউন্ট খুলতে পারেন।] তারপর সেই একাউন্ট দিয়ে আইফোনে লগ ইন করলেই ফাইন্ড মাই আইফোন এ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে।
একটা সাবধানতা, আমি যতদূর জানি, জেলব্রেক করা আইফোনে Find My iPhone কাজ করে না। সুতরাং, হারিয়ে যাবার পর যদি আইফোন খুজেঁ পেতে চান বা চোরকে শিক্ষা দিতে চান তবে আইফোন জেলব্রেক করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
Find My iPhone এর বিকল্পঃ প্রে. [এটাতে চোরের ছবিও পাবার সম্ভাবনা আছে কারন এই এ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইফোনের বিল্টইন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলে সার্ভারে পাঠায়। তবে এটার লোকেশন এ্যাকুরেসি ফাইন্ড মাই আইফোনের মতো অতটা ভালো নয়। এবং লাইভ ট্র্যাকিং আসতে বেশ সময় নেয়।]
ফোন যদি ফ্যাক্টরি আন লক করা নাও থাকে তবুও এই এ্যাপটি কাজ করবে, ওয়াই ফাইয়ের সাহায্যে। সেক্ষেত্রে হয়তো ফোনের লাইভ জিপিএস ডাটা পাবেন না। শুধুমাত্র স্থির লোকেশন পাবেন।
বিঃদ্রঃ একজন ফেসবুক ইউজারের সাথে কথপকথন হুবহু তুলে দিচ্ছি। ব্যাপারটা খুবই প্রাসংগিকঃ
তিনি জানালেন - তার ফোন হারিয়েছে কিন্তু এ্যাপটি দিয়েও চোরের কোন ট্রেইস খুজেঁ পান নি কারন চোর তার একাউন্টটিই ডিলিট করে দিয়েছে। আইফোনের লোকেশন আর দেখায় না, বলে ডিভাইস অফলাইন। সে পুলিশকে কিছু টাকা ঘুষও দিয়েছে চোর ধরার জন্য কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।
আমার রিপ্লাই ছিলোঃ আহারে ভাই আপনার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। এই কারনে ২/৩ দিনের সময় বেধেঁ দেওয়া উচিত চোরকে। এর ভেতর ফেরত না দিলে মেমরি মুছে দিবেন তাহলে সে আর সেই আইফোন দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। ইস্টার্ন প্লাজায় নাকি আইক্লাউড লক খুলে দেয় কিন্তু সেটা খুবই খরচ এবং সময় সাপেক্ষ। কাস্টমারের সাথে চুক্তি হয়, খোলার চান্স ৫০-৫০। খুল্লে ১০ হাজার দিতে হবে। আর না খুল্লে শুধু তাদের সার্ভিস চার্জ এক দেড় হাজার টাকা। আমার জানা মতে মাত্র দু জন লোক আই ক্লাউড লক খুলতে পারছে, তাও আবার ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে এবং সময় লেগেছে প্রায় ১ সপ্তাহ। মোদ্দা কথা, আপনার চোরটি খুবই ধুরন্ধর সে প্রায় অসাধ্য সাধন করেছে আইক্লাউড থেকে একাউন্ট মুছে ফেলতে পেরেছে। আরেকটা কথা ভাই, ঘুষ দেয়া ও নেয়া উভয়ই কিন্তু অপরাধ।
আপনার আইফোনের iOS version কত ছিলো? আপনি কি Find my iphone রেগুলার ব্যবহার করতেন? মানে জিপিএস ট্রাকিং, নোটিফিকেশন ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো কাজ করে কিনা সেটা টেষ্ট করেছেন কখনো? আর আপনি বল্লেন আপনি লষ্ট মুডে দিয়েছেন। লষ্ট মুড আর মেমরি ইরেজ করা কিন্তু এক কথা নয়। চোরকে বার্তা পাঠানো ছাড়া লস্ট মুডের আর কোন কাজ নাই আসলে। চোর রিপ্লাই না দিলে আপনার ফাইনাল অস্ত্র হচ্ছে, মেমরী ইরেজ করে ফেলা।

এখন যে কোন এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে আইফোনে ফাইল ট্রান্সফার করুন খুব সহজে।

এখন যে কোন এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে আইফোনে ফাইল ট্রান্সফার করুন খুব সহজে।

সবাইকে আমার সালাম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালোই আছি।
আজকে আপনাদের দেখাব কিভাবে আইফোন থেকে এন্ড্রয়েড এবং এন্ড্রয়েড থেকে আইফোনে দ্রুত যেকোন ফাইল ট্রান্সফার করা যায়।
প্রথমে আপনারা একেবারে আপডেট SHAREit এপটি আপনার আইফোন এবং এন্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটল করুন।
ধরে নিলাম আপনি আপনার এন্ড্রয়েড থেকে আইফোন এ ফাইল ট্রান্সফার করবেন।
তাহলে প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে যে ফাইলটি পাঠাবেন তা সিলেক্ট করে SHAREit এর মাধ্যমে শেয়ার এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের ছবির মত দেখবেন।
এবার Apple লেখাটায় ক্লিক করুন। ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি হটস্পট লিংক আপনার জন্য তৈরি হবে।
এবার আপনার আইফোনের SHAREit ওপেন করে রিসিভ এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের ছবির মত দেখবেন।
ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?  ভয় পাবার কিছু নাই। এখন আপনার কাজ হচ্ছে আপনার আইফোনের সেটিংস এ ক্লিক করে ওয়াইফাই চালু করা। চালু করার পর দেখবেন একটা লিংক দেখাবে (যেটা এন্ড্রয়েড SHAREit আপনার জন্য তৈরি করেছিল। ) এবার লিঙ্কের সাথে কানেক্ট করুন নিচের ছবির মত।
এবার আপনার এন্ড্রয়েড এর SHAREit এপে আপনার আইফোনের SHAREit শো করবে। নিচের ছবির মত।
এখন শুধু আইকনটাতে ক্লিক করুন আর ইচ্ছেমত ফাইল ট্রান্সফার করুন।
সবাই ভালো থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।





................................................................................................................................................
Free Apple ID
ভাই-ব্রাদার,
আপনাদের মত IT mobile computer Tech আমারও fascination.
Tech ভালো লাগে। তাই আপনাদের promotional help আশা করছি।
আমি একটা iPhone ব্যবহার করি & PC. যারফলে iOS & Mac অপারেটিং অনেকটা বুঝি । আমার একটা BUSINESS আছে। Apple ID / iTunes ID sale Business। বেকার Student হিসাবে কিছু টাকা পাই । clickbd,বিক্রয় ডটকম, এখানেই ডটকম.-এ আমার ৪ খানা Add চলে । অনুরোধ এই যে, আপনাদের পরিচিত Apple (iphone, ipad, ipod) user'দের আমার কাছ থেকে apple user ID ক্রয় করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যদিও জানি যে ব্যাপারখানা ১০০% বাণিজ্যিক। এখানে দেয়া হয়তো অমানাসই। তদুপরি অনেকের মত এটাই আমার BUSINESS.
আশা রাখি ভাই-ব্রাদরদের মতই promotional help পাবো।

আপনার আইফোন, আছে এপ্লিকেশন ডাউনলোড দিতে পাছেন না, মাত্র 200 টাকার বিনিময়ে আইডি খুলে নিন, 
২ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারী. ফোনের কোনপ্রকার Softwer সমস্যায় আমাকে জানাতে পারেন
ফোন-01711414951
So, I may your 100% trusted service provider.

ফেসবুকে আমাকে অনুসরণ করুন: https://www.facebook.com/rajuahmed431

Thank you.
আইফোনের যে অভূতপূর্ব ফিচারগুলোর কথা বেশীরভাগ লোকই জানেন না…

আইফোনের যে অভূতপূর্ব ফিচারগুলোর কথা বেশীরভাগ লোকই জানেন না…


আজ আমরা আইফোনের কিছু বিশেষ ফিচার/সার্ভিস সমন্ধে জানবো। আমি বাজী ধরে বলতে পারি, বাংলাদেশের বেশীভাগ আইফোন ব্যবহারকারীই এগুলো সমন্ধে জানেন না। অথবা জানলেও কখনো ব্যবহার করেননি। মজার ব্যাপার হলো, এর সবগুলোই একদম ফ্রি। এ্যাপেল কোম্পানি আপনার কাছ থেকে একটা পয়সাও খাবে না এই ফিচার/সার্ভিসগুলোর জন্য।
১) iMessage: এক বা একাধিক iOS 7 চালিত ডিভাইসের ভেতর আনলিমিটেড টেক্সট/এমএমএস, ছবি, ভিডিও এবং ভয়েস মেইল পাঠানোর পদ্ধতির নাম আইম্যাসেজ। শর্ত হচ্ছে, প্রতিটা ডিভাইসে আইম্যাসেজ অন করা থাকতে হবে, এবং প্রতিটা ডিভাইস যে কোন একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অধীনে থাকতে হবে। (যদি ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক সুলভ না থাকে তো আইম্যাসেজ আপনার ফোনের সেলুলার নেটওয়ার্ক (মোবাইল অপারেটর) ব্যবহার করবে। সেক্ষত্রে আপনাকে সুযোগ দেয়া হবে সেলুলার নেট ইউজ করবেন কি করবেন না সেটা নির্ধারন করার, কারন সেলুলারে প্রতি ম্যাসেজে টাকা কাটবে। কিন্তু ওয়াই-ফাইতে একদমই ফ্রি।
ব্যবহারঃ ধরেন আপনার এবং আপনার স্ত্রী দুজনেরই আইফোন আছে। দুজনের অফিসেই ওয়াই ফাই আছে। এবং দুজনেই দুজনকে প্রচুর টেক্সট করেন। (বাইরের দেশে আমি প্রচুর ফ্রি এসএমএস পেতাম প্রতি মাসে, কিন্তু বাংলাদেশে এসে দেখি এখানে কোন ফ্রি এসএমএম নাই। সবই টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ৫ টাকা দিয়ে রবির ১০০ sms কিনি তাও আবার মাত্র দুই দিন পর এক্সপায়ার হয়ে যায়! এই দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলো যেভাবে টাকা আদায় করে পাবলিকের কাছ থেকে অন্য কোন উন্নত দেশের মোবাইল কোম্পানি সেগুলা চিন্তাও করতে পারবেনা) যাই হোক, এমবস্থায় আপনি যতক্ষন আপনার অফিসের ওয়াই ফাইয়ের আন্ডারে থাকবেন ততক্ষন বাংলাদেশের কোন মোবাইল অপারেটরকে একটা পয়সাও দিতে হবে না আপনার স্ত্রীকে sms পাঠানোর জন্য। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনার স্ত্রী সেটা পাবে সাধারন এসএমএসের মতই। মানে sms যেভাবে পাবেন, হুবহু একই ভাবে আইম্যাসেজও পাবেন।
যেভাবে আইম্যাসেজ সেটাপ করবেনঃ - এখানে ছবিসহ স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়া আছে। 
আর ভয়েস ম্যাসেজ পাঠানোর পদ্ধতি এখানে বর্ণনা করা হয়েছে
২) Facetime: এটা হুবহু আইম্যাসেজের মতই শুধু পার্থক্য হচ্ছে এটাতে ভিডিও কল করা যাবে। ভিডিও কোয়ালিটি নির্ভর করবে আপনার ওয়াই-ফাই নেট কতটা শক্তিশালি তার উপর। আমার ১ এমবিপিএস নেটে ফেসটাইমের ভিডিও কোয়ালিট মাথা নষ্ট করার মতো। বিস্তারিত জানতেঃhttps://www.apple.com/ios/facetime/
৩) AirDrop: দুটি iDevice এ কনটাক্টস, ফাইল, MP3 বা ভিডিও বা যে কোন ধরনের কনটেন্ট ব্লু টুথ দিয়ে শেয়ার করার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়। তবে সীমাবদ্ধতা হলো, iPhone 5 থেকে শুরু করে এর পরের মডেল গুলোর জন্য এটা কার্যকর। বিস্তারিত জানতেঃhttp://support.apple.com/kb/ht5887
৪) AirBlue: আপনার আইফোন থেকে যে কোন ফোনে ব্লু টুথ দিয়ে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য এটি একটা থার্ডপার্টি এ্যাপ। তবে এটা ব্যবহারের জন্য আপনার আইফোনটি জেলব্রেক করতে হবে।
৫) AirPort: আপেল কোম্পানির বানানো একটা অত্যাধুনিক ওয়াই ফাই মডেম। এটি দিয়ে আপনার ল্যাপটপ, টেবলেট, আইফোন বা আইপ্যাডে ইন্টারনেট চালানো ছাড়াও বাড়তি কিছু কাজ করতে পারবেন যেগুলো বাজারের আর দশটা সাধারন মডেম করতে পারবে না। যেমনঃ আপনি বাসাজুড়ে ওয়্যারলেসলি মিউজিক স্ট্রিমিং করতে পারবেন, ওয়াই-ফাই প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করতে পারবেন, আপনার ওএসের ব্যাকাপ রাখতে পারবেন, শক্তিশালি ওয়াই-ফাই হাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এমনকি আপনার এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ এটার সাথে কানেক্ট করে টিভিতে মুভি স্ট্রিমিংও করতে পারবেন।
এয়ারপোর্টের দামও খুব বেশী না, সবচেয়ে ছোটটার দাম বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৮ হাজার টাকা। বিস্তারিতঃ https://www.apple.com/compare-wifi-models/
৬) AirPlay: এয়ারপ্লে হচ্ছে iOS এর খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ফিচার। এটা দিয়ে আপনি টিভি বা পিসির মনিটরে আপনার আইফোন বা আইপ্যাডের স্ক্রিন লাইভ মিররিং করতে পারবেন। মানে পিসিতে আমরা যেমন মাঝে মাঝে ডুয়েল ডিসপ্লে ব্যবহার করি, এটা ঠিক সেরকমই। এর সুবিধা হলো, আপনার আইফোনের স্ত্রিন রেকর্ড করতে পারবেন এমনকি আপনি আইফোনে যা যা করছেন সেটা সরাসরি প্রজেক্টরে দেখাতেও পারবেন।  বিস্তারিত জানতেঃ https://www.apple.com/airplay/
চিত্রঃ আমি AirPlay ব্যবহার করছি।
উল্লেখ্য, আমার দেখা সেরা iOS game ইনফিটিনি ব্লেড ২ এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমব্যাট আমি এয়ারপ্লে দিয়ে রেকর্ড করে ইউটিউবে প্রচার করেছি। সেই ভিডিওগুলো এখানে থেকে দেখা যাবেঃ 
৭) iTunes Home Sharing: এর মাধ্যমে আপনি যে কোন গান বা মুভি আপনার আইফোনে না নিয়েও আইফোন দিয়ে শুনতে/দেখতে পাবেন। কি, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? বেশ, বিশ্বাস না হলে নিজেই চেষ্টা করেন দেখুন।
যা যা লাগবেঃ চারটা জিনিস লাগবে। একটা আইফোন, পিসিতে আইটিউনস, একটা আপেল আইডি আর একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক।
এবার আইটিউনস থেকে File > Home Sharing > আপেল আইডি দিয়ে লগিন করে Done এ ক্লিক করুন। এবার আপনার আইফোনের Settings > Music এবং Settings > Video তে গিয়ে ঐ একই আপেল আইডি দিয়ে লগ ইন করেন। এবার আইটিউনস খোলা রেখেই আইফোনের মিউজিক এবং ভিডিও এ্যাপসে যান। Music > More > Shared > আপনার লাইব্রেরি সিলেক্ট করুন। আমার আইফোনে আসে Proloy's Library. তেমনি ভিডিওতে গিয়ে Video > Shared. ব্যস। এবার দেখুন, যে গান বা মুভিগুলো আপনার আইফোনে নেই কিন্তু আইটিউনসে আছে, সেগুলো দিব্যি আপনি আইফোন থেকেই চালাতে পারছেন। আপনি যতক্ষন ঐ ওয়াই ফাই নেটওয়াকের অধীনে থাকবেন, ততক্ষন আর ওসব আইফোনে নিতে হবে না। এর সুবিধা হলো, আপনার আইফোনের মেমরি একদম ফুল হয়ে গেলেও আপনি নতুন নতুন ভিডিও বা গান আইফোন থেকে শুনতে পারবেন। যেমনঃ আমি প্রায়ই আমার আইপ্যাড দিয়ে মুভি দেখতে দেখতে অথবা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। গান এবং মুভির সম্মিলিত সাইজ প্রায় দুই গিগা অথচ আমার আইপ্যাডে দুই গিগা জায়গা খালিও নাই।
৮) ধরুন আপনি বাসার ওয়াই ফাই দিয়ে প্রথমালোতে একটা আর্জেন্ট সংবাদ পড়ছেন। অথচ তাড়ার ভেতর আছেন। এখুনি বেরুতে হবে। আর্টিকেলটা বিশাল। শেষ করতে না হলেও ১৫-২০ মিনিট লাগবে। এত সময় আপনার হাতে নেই কিন্তু বাসে বসে অফিসে যেতে যেতে পড়তে পারবেন। কিন্তু আবার সেলুলার নেটও ব্যবহার করতে চাচ্ছেন না কারন ওতে বেশী টাকা কাটে। বা আপনার মোবাইলে ব্যালেন্সই নেই। তখন কি করবেন?
এই সমস্যার সমাধান খুবই সহজ। শুধু দুটি ফ্রি এ্যাপ আপনার আইফোনে ইনসটলড থাকতে হবে। ১. Chrome ব্রাউজার আর ২. Offline Reader নামের একটা ফ্রি এ্যাপ। ক্রোম এ্যাপটি আপনার পিসিতে থাকা ক্রোম ব্রাউজারের সাথে সিংক করে সেখানে খুলে থাকা সবগুলো ট্যাব আপনার আইফোনে নিয়ে আসবে এবং তারপর Offline Reader দিয়ে সেগুলোকে অফলাইনে পড়ার জন্য সেইভ করবেন। ব্যস হয়ে গেলো। এ্যাপ দুটো ইনসটল করা থাকলে সব মিলিয়ে বড় জোর মিনিট খানেকের মামলা! তারপর বাসে বসে পড়তে থাকুন আপনার আর্টিকেল যতক্ষন খুশী। দেশের জোচ্চর আর ডাকাত মোবাইল অপারেটরকে একটা পয়সাও দিতে হবে না নেটের জন্য।
বিঃদ্রঃ অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন এসব করতে জেলব্রেক করা লাগবে কিনা তাদের বলছি, আমি যে সব টিপস দেই, তার কোনটার জন্যই আপনার আইফোনকে জেলব্রেক করতে হবে না। যদি করতে হয়, তবে আমি অবশ্যই সেটা উল্লেখ করবো। যেমন ৪ নম্বরে করেছি। আর যদি উল্লেখ না করি, তবে ভাববেন জেলব্রেক লাগবে না।
আইফোনের একটি প্রয়োজনিয় টিপস নিয়ে নিন এখনি

আইফোনের একটি প্রয়োজনিয় টিপস নিয়ে নিন এখনি

আমি ভাল আছি  টেকটিউনসের সকল শুভাকাঙ্খীর দোয়ায় আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম আইফোনের
একটি প্রয়োজনিয় টিপস নিয়ে যদিও  আমি আইফোন ইউজার না কিন্তু আমি এটা জানি তাই সেয়ার করছি ব্যস এখন তাহলে আজকের বিষয়ের কথায় চলে যাই...............।
আগেই বলেছি আমি আইফোন ইউজার না কিন্তু এখন অনেই আইফোন ব্যবহার করেন আর আপনার এই পছন্দের প্রিয় মোবাইলটি যখন তখন চুরি হতে পারে চোরের হাতের নাগালে রাখা সত্তেত্ত আর
চোর বেটা মোবাইল চুরি করে সাথে সাথেই মোবাইল অফ করে দেয় যেন আপনি খুঁজে না পান বা এজন্য কল না দেন । কিন্তু যদি এমন করা যায় চোর সহজে পাওয়ার অফ করতে পারছেনা, কেমন হয় ?
অবশ্যই ভাল তাইনা । হুম আপনার জেইলব্রোকেন আইফোনে আপনি এই সেটিং টি সেট করে নিতে পারেন power
security টুইক এর মাধ্যমে । এতে আপনার দেয়া পাসওয়ার্ড ছাড়া কোনভাবেই ফোনের পাওয়ার অফ করা যাবেনা ।
কাজে আসলে জানাবেন কিন্তু ।


আপনার Apple Device টি তে ঝামেলাবিহিন ভাবে Photo,Vedio, Audio,Ringtone,Contacts Transfer করুন আপনার PC থেকে

আপনার Apple Device টি তে ঝামেলাবিহিন ভাবে Photo,Vedio, Audio,Ringtone,Contacts Transfer করুন আপনার PC থেকে

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন।
আমরা যারা অ্যাপেল এর পণ্য Use করি যেমন iPhone, iPad তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হয় তা হল মনের ইচ্ছা মত গান, ভিডিও, ফটো , Contact, insert করতে পারিনা, তাই আজ আমি আপনাদের এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এলাম,   Software টির নাম  Wandershare TunesGo IOS Manager , বর্তমান বাজার মূল্য   39.95 $    কারোর যাচাই করার ইচ্ছা থাকলে এখানে ক্লিক করুন।
কিন্তু আমি আপনাদেরকে এটার Full Version দিব 
Download করতে এখানে ক্লিক করুন।
এর কিছু Screenshot নিচে দেয়া হল ।


এবার দেখাচ্ছি কিভাবে ফুল ভার্সন করবেন নিচের ScreenShot গুলু দেখুন।

বি দ্র: এটা Active করার আগে অবশ্যই আপনার Antivirus ১০ মিনিট এর জন্য Disable করে নিন।

প্রথমে RAR ফাইলটা extract করুন এমন পাবেন

এখান থেকে patch folder টি ওপেন করুন এমন পাবেন
এবার patch file টি তে ডাবল ক্লিক করুন এমন পাবেন
একটা CMD page open হবে ২/৩ বার প্রেস any key করে এমন পাবেন
C:\Program Files (x86)\Wondershare\TunesGo Retro  এই Path  টা ধরিয়ে দিন , এমন পাবেন

ব্যাস আপনার কাজ শেষ এবার Desktop থেকে Software টি Open করে দেখুন Full version হয়ে গেছে ।
এবার enjoy করুন ।
কোণও প্রকার বুঝতে সমস্যা হলে PLZ Comments করে জানাবেন ।


আইফোনে বাংলা টাইপ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি

আইফোনে বাংলা টাইপ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি

আসসালামুয়ালাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি (আলহামদুলিল্লাহ্‌)।
আজ আপনাদেরকে এমন একটি এপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যা দিয়ে আপনারা খুব সহজে আই-ফোনে বাংলা টাইপ করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে তাহলে জেনে নিই_
প্রথমে আপনার আইফোন থেকে App Store এ যান তারপর KeyNounce Bennglai লিখে সার্চ দিন। এবং যে এপস টি আসবে সেটি ইনস্টল করে নিন। ইনস্টল করা শেষ হলে সেটিং / settings এ যান সেখান থেকে General > Keyboard > Keyboards > Add New Keyboard নিয়ে সেখানে Bengali Transliteration-Keyboard সিলেক্ট করুণ এখন Bangali Translteration ক্লিক করে Allow Full Access টা Allow করে দিন।
উপরে ছবিতে দেখানো লাল চিহ্নের মত আইকন আসবে সেখানে ক্লিক করে বাংলা মুড অন করে নিন। বাজ এখন আপনার কাজ শেষ। এখন বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে বাংলায় এস, এম, এস, বা চ্যাটে মেতে উঠুন।
অবশ্যই এপসটি ডাউনলোড করার জন্য এপস স্টোরে আপনার একাউন্ট থাকতে হব এবং এপসটি ডাউনলোড করার সময় ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হবে। 
বিঃ দ্রঃ Apps টি ইনেস্টল করার পর ওপেন করলে বাংলা লেখার জন্য কি কি করতে হবে তা ভিডিও আকারে দেখা যাবে।

সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই চেক করে নিবেন

সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই চেক করে নিবেন

বাংলাদেশের বাজারে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনাটা বিরাট ঝুকিঁর ব্যাপার। একটু সাবধান না হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে অবধারিতভাবে ঠকতে হবে।  কারন আপনাকে কোন ধরনের ওয়ারেন্টি দেয়া হবে না, কোন মানি ব্যাক গ্যরান্টি পাবেন না। মানে কেনার সময় যা দেখার দেখে নিবেন, পরে আর কোন আপত্তি গ্রহন করবে না কেউ অবশ্য বসুন্ধরার দোকানগুলোতে নাকি ৬ মাসের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেয়। তাই ওরা দামও বেশী রাখে।
ঢাকাতে বেশ কয়েকটা সংঘবদ্ধ চক্র আছে যারা শুধুমাত্র আইফোন চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সুতরাং সাবধান না থাকলে দেখা যাবে, কোন না কোন ফিচার কাজ করছে না বা আইফোন ক্লাউডে লকড। সবকিছু ঠিক থাকলেও দেখা যাবে ফোন চোরাই মাল।  তখন মান সন্মান নিয়ে টানাটানি এমনকি কপালের ফেড়েঁ পড়ে জেলের ঘানিও টানতে হতে পারে। তাই  ইন্টারনেট থেকে ঘাটাঁঘাটি করে আমার নিজের বানানো একটা চেক লিষ্ট দিলাম। আমার জানা মতে বাংলাতে, বিশেষ করে আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এই রকম লিষ্ট এর আগে কেউ দেয় নাই। অন্তত আমি গুগলে অনেক ঘেটেওঁ পাই নাই।
এই লিস্ট পুরোপুরিভাবে ফলো করতে পারলে ঠকার সম্ভবান নাই বল্লেই চলে।  শুধু একটা সেফটিপিন আর ইন্টারনেট একটিভ আছে এমন একটি মাইক্রো সিম সাথে করে নিয়ে যাবেন। এই দুইটা জিনিস আইফোন চেক করতে কাজে লাগবে। আইফোনের সাথে যদি বিক্রেতা ইয়ারফোন অফার না করে তবে একটা ইয়ারফোনও সাথে নিন।
কিনতে যাবার আগে যে মডেলের আইফোন কিনতে চান সেটার ফিচার এবং স্পেসিফিকেশনের ব্যাপারে খানিকটা ধারনা নিয়ে তারপর যান। আর বিক্রেতাকে প্রথমেই জিগেস করবেন তার সিমে নেট একটিভ আছে কিনা। না থাকলে আপনার সিম ভেতরে ভরে কাজ শুরু করেন।
১) iCloud Account Delete: আইফোন হাতে নিয়েই আগে দেখবেন যে আইক্লাউডে লকড কিনা। ঠিকানা: [settings > iCloud > কোন একটা ইমেইল ঠিকানা যদি এখানে দেখেন তাহলে বুঝতে হবে সেট লকড। সুতরাং আইফোন বুঝে নেবার আগে অবশ্যই বিক্রেতাকে বলবেন আপনার সামনে এই একাউন্টটা ডিলিট করে দিতে। সবার নীচে ডিলিটের অপশন আছে। যদি এটা বলতে ভুলে যান বা বিক্রেতা কোন কারনে ডিলিট না করেই আপনাকে ফোন গছিয়ে দেয় তাহলে বুঝবেন এই ফোনের কারনে অনেক ভোগান্তি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।]
২. Erase all content & Settings: কেনার আগে এটা করতে পারলে তো সব চাইতে ভালো হয়। ঠিকানা: Settings > General > একদম সবার নীচে Reset > Erase all content & Settings.
৩. Turn Find My iPhone off: উপরের যে কোনর একটা করতে পারলে এটা অটোমেটিক অফ হয়ে যাবে। আলাদা করে আর অফ করতে হবে না। এই এ্যাপ দিয়ে ফোন ট্র্যাকিং করা হয়। সুতরাং চোরাই মাল হলে আর এটা অন থাকলে আপনি মহাবিপদে পড়তে পারেন।
৪. HDD Capacity: কেনার আগে আইফোনের স্টোরেজ চেক করে নিবেন যে যত গিগা বিক্রেতা বলছে তত গিগা আছে কিনা। দেখা যাবে Settings > General > About ঠিকানায় গিয়ে।
৫. Exterior including Screws + Gevey SIM tray + Turbo Unlock: আইফোনের বাইরের আবরন বা খাপটা ভালো করে দেখবেন যে বড় ধরনের কোন স্ক্রাচ বা দাগ আছে কিনা। বিশেষ করে স্ক্রু গুলো চেক করে দেখবেন যে খোলা হয়েছে কিনা। খোলা হলে স্কুর মাথায় দাগ থাকবে। আর সিম ট্রে বের করে ভালো করে দেখবেন যে ট্রের উপরে কোন ছোট সার্কিট লাগানো আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে বুঝবেন এটা গেভে আনলক করা। ফ্যাক্টরি আনলক নয়। গেভে আনলক করা আইফোনের দাম কম। কারন আপনার সিমের অনেক নাম্বার গেভেতে কাজ করবে না, যেমন: মোবাইলের ব্যালান্স চেক করতে পারবেন না, সবচে বড় সমস্যা হলো, একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন ফোন আবার ফ্যাক্টরি লকড হয়ে গেছে। এই সমস্যা বেশী হয় ফোনের ওএস আপডেট দেবার পর। টারবো আনলকেও এই সমস্যা হয়। অবশ্য বিক্রেতা সাধারনত আগেই বলে দিবে আপনাকে যে ফোনটা টারবো বা গেভে আনলক কিনা।
গ্যাভে বা টারবো আনলক বা R-sim আনলক ইত্যাদি দুই নম্বরি আনলক পদ্ধতি সমন্ধে বিস্তারিত জানতে গুগলিং করে দেখুন।
৬. iTunes Log on with your own ID:  নিজের যদি এ্যাপেল আইডি থাকে, তবে বিক্রেতার সামনে সেটা দিয়ে লগ ইন করবেন। দরকার হলে একটা এ্যাপ নামিয়েও দেখবেন। (Battery Doctor নামে একটা ফ্রি এ্যাপ আছে। ওটা নামাতে পারেন। ওটা দিয়ে আইফোনের ব্যাটারির ১৪ গোষ্ঠির খবর নেয়া যায়। আইফোন ফুল চার্জ হতে কত সময় নেবে এবং কত সময় ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যাবে, সেটা এই এ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে।
৭. Data Syncing & charging at the same time: ভালো হয় সাথে করে একটা ল্যাপটপ নিয়ে যেতে পারলেও। তাহলে এই ফিচারটা চেক করে দেখা যায় যে আইফোনটি একইসাথে সিংক হচ্ছে আর চার্জ হচেছ কিনা। আর যদি একান্তই ল্যাপি না নিয়ে যেতে পারেন তো অন্তত পাওয়ার এডাপটার দিয়ে চার্জ করে দেখেন যে ফোন ঠিকমতো চার্জ হয় কিনা।
৮. Make a call: যে আইফোনটি কিনতে চাচ্ছেন সেখান থেকে ফোন করে কথা বলুন কারো সাথে। দেখুন মাইক্রোফোন আর সাউন্ড আউটপুট ঠিকমতো কাজ করে কিনা।
৯. Send a text: এসএমএস পাঠান।
১০. Headphone Jack: ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনে দেখুন ইয়ার ফোনের জ্যাক ঠিক আছে কিনা।
১১. Audio/Video: অডিও ভিডিও প্লেব্যাক চেক করুন।
১২. Still Picture/ Movie Recording: ক্যামেরা দিয়ে স্টিল ছবি তুলুন এবং ভিডিও করে দেখুন সব কাজ করে কিনা।
১৩. Voice Memo Recording: দেখুন আপনার ভয়েস রেকর্ড করা যায় কিনা। আইফোনে একটা বিল্ট ইন এ্যাপ থাকে এটার জন্য। নাম Voice Memo.
১৪.  ফোনের IMEI নাম্বার দিয়ে ফোনের বয়স চেক করুন। http://www.iphoneox.com  এই ওয়েব সাইটে যান। এরপর যে ফোন কিনতে চান সেটার IMEI নাম্বার দিয়ে দেখুন নীচের ছবিতে দেয়া তথ্য পাবেন।  প্রতিটি তথ্য খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং দেখবেন যে বিক্রেতার কথার সাথে সেগুলো মেলে কিনা। ফোনটি কবে কেনা হয়েছে একদম দিন তারিখসহ সব দেখতে পাবেন। IMEI নাম্বার পাওয়া যাবে Settings > General > About > নীচের দিকে IMEI নাম্বার আছে। সিম ট্রের সাথে IMEI নম্বর ম্যাচ করে কিনা চাইলে সেটাও চেক করে দেখতে পারেন। কারন আইফোন ৪ ও ৪ এসের সিম ট্রেতে আইএমইআই নাম্বার খোদাই করা থাকে। এর পরের সবগুলো মডেলে সেটের পেছনে পাবেন। ম্যাচ না করলে ভাববেন হয় চোরাই মাল নাহলে থার্ড পার্টি ফ্যাকটরি রিফারবিশড।
১৫: Charging with wall charger: ওয়াল চার্জার দিয়ে চার্জ হয় কিনা দেখুন। অনেক  আইফোন ল্যাপিতে চার্জ হয় কিন্তু ওয়াল আউটপুটে হয় না। তেমনি ভাইস ভার্সা।
 ‍
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ব্যাটারির শেষবার চার্জ টাইম আর বর্তমান চার্জ পার্সেনটেজ এদুটো আনুপাতিক হারে মিলিয়ে দেখবেন সব ঠিক আছে কিনা। ধরুন, ব্যাটারি ইউজ হচ্ছে ৩০ মিনিট ধরে অথচ স্ট্যান্ডবাই টাইম দেখাচ্ছে ১ ঘন্টারও কম সময়, তাহলে বুঝবেন ব্যাটারির আয়ু খুব বেশীদিন নাই। ঠিকানাঃ Settings -> General -> Usage.
১৬. লেটেস্ট ওএস আপডেট দেয়া আছে কিনা সেটা চেক করুন। অনেক সময় চোরাই মাল হলে চোর লেটেষ্ট আপডেট দিতে ভয় পায়/দিতে পারে না।
১৭. স্ক্রিনের বাইরে আংগুল দিয়ে টাচ করে দেখুন যে ডিসপ্লে ডিম হয়ে যায় কিনা।
১৮. ওয়াই ফাই-ব্লুটুথ: এই দুইটা ফিচার কাজ করে কিনা দেখবেন। আশে পাশে ওয়াই ফাই না থাকলেও সমস্যা নাই আপনি শুধু দেখেন যে এই দুটা অন হয় কিনা। কারন iOS 7 আপডেট দেবার পর হাজার হাজার আইফোনের ওয়াইফাই আর ব্লুটুথ ফিচার নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এবং এই কারনেও অনেকে তার আইফোনটি বিক্রি করে দিতে পারে। আর বিক্রেতার জন্য সুখকর ব্যাপার হলো, বেশীরভাগ লোকই আইফোন কিনার আাগে এই দুইটা ফিচার চেক করে দেখে না। আপনি এই ভুল করবেন না।
১৯. আইফোনের দুটো জাত আছে। GSM আর CDMA. আামর কাছে CDMA preferred. আরেকটা জাত আছে, চাইনিজ আইফোন। মানে এটা শুধুমাত্র চায়নায় বিক্রির জন্য আলাদা ভাবে এ্যাপল বানিয়ে থাকে। এইটাও কিনবেন না।
২০. পাওয়ার বাটন ঠিক মতো কাজ করে কিনা দেখবেন। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যবহারে পাওয়ার বাটন ঢিলা হয়ে যায় বা রেসপন্স করতে দেরী হয়।
২১. আইফোনের পাশে যে বাটনগুলো আছে, সেগুলো ভালো করে চেক করে দেখবেন সব ঠিক ঠাক মতো কাজ করে কিনা। বিশেষ করে সাইলেন্ট বাটনটা।
২২. আইফোনের ডেড পিক্সেলও চেক করতে পারেন হাতে সময় থাকলেঃ http://iphonedpt.awardspace.com/ এই সাইটে যাবেন আইফোন দিয়ে তারপর চেক করে দেখবেন স্ত্রিনে কোন কালো ডট দেখায় কিনা। এইটা অত জরুরী কিছু না।  কেননা অত্যন্ত রেয়ার কেসে আইফোন ডেড বা স্টাক (stuck) পিক্সেল থাকে।
আরেকটা কথা, আমি সব সময়ই জেলব্রোকেন ফোন কিনতে নিরুৎসাহিত করি। জেলব্রোকেনের অনেক সমস্যা সেটা নিয়ে আরেকদিন আলাদা করে টিউন দিবো।
কিভাবে বুঝবেন আইফোন জেইলব্রোকেন কিনাঃ
২১. আইফোনে সার্চ করে দেখুন  "cydia", "Absinthe", "winterboard" or "installous" নামে কোন এ্যাপ ইনসটল করা আছে কিনা। যদি থাকে তবে ভাববেন আইফোনটি জেলব্রেক করা। কিনবেন না। বা কিনতে চাইলেও দাম কম বলবেন।
সবশেষে কয়েকটা সাধারন টিপসঃ ক্যাশ টাকা নিয়ে যাবেন না।  ব্যাংকে টাকা রেখে এটিএম কার্ড নিয়ে যান। সাথে করে কাউকে নিয়ে যান। একা না যাওয়াই ভালো। ফোনের ছবি বিজ্ঞাপনে না দিলে সেটা সন্দেহজনক। বিক্রেতা বেশী তাড়াহুড়ো করলে ভাববেন কোথাও কোন ঘাপলা আছে। আপনি সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে দেখবেন। দরকার হলে আপনি আগে থেকে বলে নিবেন যে আমার আধা ঘন্টা সময় লাগবে আইফোন চেক করতে। বিক্রেতা যদি এতে রাজী না হয় তবে সিটিএন বলে চলে আসুন। বিক্রয়.কম বা এখানেই.কম এ আইফোন হট কেকের মতো বিক্রি হয় এবং অবাক করা বাপার, বেশীরভাগই থাকে উত্তরার। এটা কেন কে জানে?
কেনার পর বিক্রেতার কাছ থেকে অবশ্যই তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিবেন। আপনার কাছে সে আইফোন বিক্রি করেছে সেটাও সেখানে উল্লেখ থাকবে ও তার স্বাক্ষর থাকবে তারিখসহ। ভোটার আইডি কার্ড তার কিনা সেটা যথাসম্ভব যাচাই করে নিন। কৌশলে তার বাবা-মার নাম আর জন্মতারিখ জিগেস করে জেনে নিন এবং আইডি কাডের সাথে তা মিলিয়ে নিন। আইডির ছবির সাথে তার চেহারার মিল আছে কিনা দেখুন। কেননা, বিক্রেতা চোর হলে অন্য কারো ভোটার আইডি গছিয়ে দেয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। সবচাইতে ভালো হয়, তার বাসাটা চিনে রাখতে পারলে। তাই প্রথমেই চেষ্টা করবেন তার বাসায় গিয়ে ফোন দেখার।
কিছু মিস গেলে টিউমেন্টে জানাবেন প্লিজ। আমার  এই টিপসগুলো পড়ে কেউ যদি উপকার পান বা কারো যদি কোন ফিডব্যাক থাকে তবে জানাতে দ্বিধা করবেন না, খুব খুশী হবো। ধন্যবাদ।

মোট পাতাদর্শিত

Friday, October 16, 2015

Find My iPhone এর ব্যাপারে বিস্তারিতঃ এ্যাপটি যেভাবে কাজ করে

এ্যাপেলের নিজস্ব এ্যাপ্লিকেশন ’ফাইন্ড মাই আইফোন’ এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের রিয়েল টাইম লোকেশন দেখতে পারবেন গুগল ম্যাপে। এমনকি চাইলে ফোনে বার্তা বা এলার্ট টোনও পাঠাতে পারবেন। ফোন হারিয়ে গেলে সেই ম্যাসেজের মাধ্যমে চোরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। যদি দেখন চোর কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না, তখন আপনি ঘরে বসেই আপনার আইফোনটির সমস্ত তথ্য মুছে দিতে পারবেন। এর সুবিধা হলো, চোর কিছুতেই আপনার ফোনটি আর ব্যবহার করতে পারবে না। সে না পারবে সেটা বিক্রি করতে, না পারবে নিজে ব্যবহার করতে। ফাইন্ড মাই আইফোন দিয়ে মেমরি ইরেজ করার পর সেটার একটিভেশন লক হয়ে যাবে। এর মানে হলো, মূল মালিক ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ আর সেই ফোন একটিভ করতে পারবে না। এমনকি স্বয়ং আপেলও কনা। তার মানে চোরের কাছে তখন দুটো মাত্র অপশন থাকে। ক) আইফোনটা আপনাকে ফেরত দেয়া। ২) সেটাকে পেপারওয়েট হিসেবে ব্যবহার করা অথবা শো পিস হিসেবে ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখা।
পুরো ব্যাপারটা কিভাবে কাজ করে, সে ব্যাপারে অনেকেরই হয়তো ধারনা নেই। তাছাড়া, সেটার বিস্তারিত বাংলা ভাষায় নেটের কোথাও লেখা নেই। এমনকি আমারও জানা ছিলো না। তাই ভাবলাম সেটা জেনে বাংলাতে একটু বিস্তারিত লেখা যাক। তো ফাইন্ড মাই আইফোন কিভাবে কাজ করে সেটা দেখার জন্য আমার পিসির ব্রাউজার দিয়ে আই ক্লাউডে ঢুকে লষ্ট মুডে গিয়ে আমার ফোনে একটা ম্যাসেজ পাঠালাম। বাংলাতে লিখলাম – ”আমি প্রলয় হাসান। আমার আইফোনটি হারানো গিয়েছে। আমার সাথে যোগাযোগের নম্বর....। আপনি ফোনটি ফেরত দিলে উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে। আপনার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। যদি ফেরত না দিন তবে এই ফোনটি আপনি কোনভাবেই আর ব্যবহার করতে পারবেন না।” ৫ সেকেন্ডের ভেতর হুবহু এই ম্যাসেজটিই স্পষ্ট বাংলা ফন্টে আমার ফোনের লক স্ক্রিনে আবিভূত হলো। ফোনের পাসকোড দিয়ে দিলেই ম্যাসেজটি মুছে যাচ্ছে। কিন্তু যখনি আবার পাস লকড হচ্ছে, তখনি আবার আর্বিভূত হচ্ছে। এভাবে ক্রমাগত হচ্ছে।
এরপর আমি এলার্ট টোন পাঠালাম আমার ফোনে। কয়েক সেকেন্ডের ভেতর তীক্ষ একটা আওয়াজ শুরু হলো আমার ফোনে এবং উপরে লেখা উঠলো iPhone Lost Alert. এরপর ফোনের পাসকোড দিতেই শব্দ এবং ম্যাসেজ দুটোই দূর হয়ে গেলো। [তার মানে, এই ম্যাসেজ বা টোনের হ্যাপা থেকে বাচঁতে হলে চোরকে অবশ্যই আমার চার ডিজিটের পাসকোড জানতে হবে। না জানলে, ম্যাসেজটি সরবে না এবং ক্রমাগত শব্দ হতে থাকবে। যতক্ষন ব্যাটারির চার্জ থাকবে আর কি!] আরেকটা ব্যাপার, লস্ট মুড এনাবেল করার সাথে সাথে আইফোনের লোকেশন ট্রাক করতে শুরু করে ফাইন্ড মাই আইফোন এ্যাপটি। মানে কোথায়, কতক্ষন ধরে কখন ফোনটা ম্যাপের কোন লোকেশনে ছিলো, সেটা দেখাতে থাকে। [গুগল ম্যাপে এই লোকশন দেখানোটা যথেষ্টই নিখুতঁ। একদম আমার মিরপুরের বাড়ীর রাস্তাটাই দেখায়।] এমনকি, আপনার হারানো ফোনে এখন কত পার্সেন্ট ব্যাটারি আছে, সেটাও আপনি আইক্লাউড থেকে দেখতে পারবেন। পুরো ব্যাপারটি জন্যে হারানো আইফোনকে ইন্টারনেটের সাথে যু্ক্ত থাকতে হবে। চোর যখনই আপনার ফোনটি ইন্টারনেটের সাথে যু্ক্ত করবে, তখনই আপনার পাঠানো ম্যাসেজ বা টোন আপনাআপনি আইফোনে চলে যাবে, সেটা যদি ১ বছর পরও হয়।
যাইহোক, সবশেষে আমি আমার আইফোনটির একটিভিশন লক এনাবেল করে দিলাম। একটিভিশন লক এনাবেল হবার পর আপনি গুগল ম্যাপে ফোনের কোন ট্রেস পাবেন না কারন ফোনের ভেতরে জিপিএস সিগন্যালের জন্য যে ডাটাগুলো ইনসটল করা হয়েছিলো, সেটাও মেমরির সাথে মুছে গিয়েছে। কিন্তু আমি চোরকে যে ম্যাসেজটি পাঠিয়েছিলাম, সেটা কিন্তু মুছে যায়নি বরং স্ক্রিনে ভেসে ছিলো।
আমি চোরের জাগায় থাকলে কি করতাম ভাবলাম। আমি চোরের জাগায় থাকলে প্রথমে ফোনটি রিকভার মুডে নিয়ে ফ্যাক্টরি সেটিংস দেবার চেস্টা করতাম। তাই এরপর আমার আইফোনটিকে রিকভার মুডে নিয়ে গেলাম। তারপর মেনুয়ালি রিসেট করা চেষ্টা করলাম। একটুপর যখনি ফোনের উপরে একটা ম্যাসেজ ভেসে উঠলো, in order to activate your iPhone, Connect it to iTunes, তখনি বুঝলাম যে আসল ঘটনা এখনই শুরু হবে। তো আইটিউনসের সাথে লাগানোর পর পরই নীচের দৃশ্যটি দেখতে পেলাম। যাদের আইফোন নিয়ে সামান্যতম ধারনা আছে, তারা এই ছবিটি দেখেই হয়ত বুঝতে পারছেন যে, চোরের আর কিছুই করার নেই এখানে। অলরেডি এটা একটা মৃত আইফোনে পরিনত হয়েছে যেটা দিয়ে শোপিস ছাড়া আর কোন কাজেই ব্যবহার করা যাবে না। উল্লেখ্য, পিসি বা ল্যাপটপে তখন নেট কানেকশন না থাকলে, আইফোন একটিভ হবে না। ফোন একটিভ করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন বাধ্যতামূলক। আর ইন্টারনেটসহ আইটিউনসে কানেক্ট করলেই চোর বিপদে পড়বে।
যা হোক, আমি কানেক্ট করলাম এবং এরপর এই ছবিটি আমার আইটিউনসের পর্দায় ভেসে উঠলো।
খেয়াল করে দেখুন, এখানে বলা হচ্ছে ঐ ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে যেটা দিয়ে এই আইফোনটিকে ইরেজ করে ফেলা হয়েছিলো। চোর এখানেই ধরা। কারন সে আপনার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড জানে না।  আর আইফোন একটিভেট করতে না পারলে এটার আর কোনই মূল্য নেই শো পিস ছাড়া।
আইফোন ৫ এস এ ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে ফিংগারপ্রিন্ট স্ক্যানার। মানে আসল মালিক ছাড়া আর কারো হাতে সেটা খুলবে না। শুনছি আইওএস ৮ এ ক্লাউড থেকেই পাসকোড বদলানোর সুযোগ দেয়া হবে এবং চোরের অজ্ঞাতে তার ছবি তুলে আইক্লাউডে পাঠাবার চেষ্টা করবে আইফোন। ফ্রন্ট ক্যামেরা কিছুক্ষন পর পর ছবি তুলে পাঠাতে থাকবে।
অষ্ট্রেলিয়াতে দেখেছি, ফাইন্ড মাই আইফোন গুগল ম্যাপের যে ট্রেসিং পয়েন্ট দেখায়, সেটা প্রিন্ট করে থানায় জমা দিলেই পরদিন পুলিশ আসল মালিকের বাসায় এসে ফোন দিয়ে যায়। বাংলাদেশে তো আর সেটা সম্ভব না। আমি গুলশান থানার একজন তরুন পুলিশ অফিসারের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি, খুব এক্সট্রিম কেস (যেমনঃ খুন বা রেইপ) ছাড়া জিপিএস ট্রাকিং করে আইফোন খুজেঁ নিয়ে আসার মতো অত সময় বা সুযোগ ডিএমপির নাই। অথচ, এ্যাপেল এই এ্যাপটি বানিয়েছেই হারানো আইফোন ফেরত পাবার জন্য। সুতরাং, বাংলাদেশে আপনার আইফোন হারানো গেলে সেটা হয়তো আপনি ফিরে নাও পেতে পারেন, কিন্তু একটা ব্যাপারে আপনি সুনিশ্চিত থাকতে পারেন যে, চোরও সেটা আর ব্যবহার করতে পারবে না যদি আপনি ফাইন্ড মাই আইফোনকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে জানেন।
Find My iPhone এ্যাপটি আইফোনে বিল্ট ইন থাকে। চাইলে আলাদা করে নামাতেও পারেন। এ্যাপস্টোর থেকে এটা বিনামূল্যে নামানো যায়। এই অসাধারন এ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনার একটি iCloud একাউন্ট থাকতে হবে। [যে কেউ চাইলেই ফ্রি আই ক্লাউড একাউন্ট খুলতে পারেন।] তারপর সেই একাউন্ট দিয়ে আইফোনে লগ ইন করলেই ফাইন্ড মাই আইফোন এ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে।
একটা সাবধানতা, আমি যতদূর জানি, জেলব্রেক করা আইফোনে Find My iPhone কাজ করে না। সুতরাং, হারিয়ে যাবার পর যদি আইফোন খুজেঁ পেতে চান বা চোরকে শিক্ষা দিতে চান তবে আইফোন জেলব্রেক করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
Find My iPhone এর বিকল্পঃ প্রে. [এটাতে চোরের ছবিও পাবার সম্ভাবনা আছে কারন এই এ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইফোনের বিল্টইন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলে সার্ভারে পাঠায়। তবে এটার লোকেশন এ্যাকুরেসি ফাইন্ড মাই আইফোনের মতো অতটা ভালো নয়। এবং লাইভ ট্র্যাকিং আসতে বেশ সময় নেয়।]
ফোন যদি ফ্যাক্টরি আন লক করা নাও থাকে তবুও এই এ্যাপটি কাজ করবে, ওয়াই ফাইয়ের সাহায্যে। সেক্ষেত্রে হয়তো ফোনের লাইভ জিপিএস ডাটা পাবেন না। শুধুমাত্র স্থির লোকেশন পাবেন।
বিঃদ্রঃ একজন ফেসবুক ইউজারের সাথে কথপকথন হুবহু তুলে দিচ্ছি। ব্যাপারটা খুবই প্রাসংগিকঃ
তিনি জানালেন - তার ফোন হারিয়েছে কিন্তু এ্যাপটি দিয়েও চোরের কোন ট্রেইস খুজেঁ পান নি কারন চোর তার একাউন্টটিই ডিলিট করে দিয়েছে। আইফোনের লোকেশন আর দেখায় না, বলে ডিভাইস অফলাইন। সে পুলিশকে কিছু টাকা ঘুষও দিয়েছে চোর ধরার জন্য কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।
আমার রিপ্লাই ছিলোঃ আহারে ভাই আপনার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। এই কারনে ২/৩ দিনের সময় বেধেঁ দেওয়া উচিত চোরকে। এর ভেতর ফেরত না দিলে মেমরি মুছে দিবেন তাহলে সে আর সেই আইফোন দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। ইস্টার্ন প্লাজায় নাকি আইক্লাউড লক খুলে দেয় কিন্তু সেটা খুবই খরচ এবং সময় সাপেক্ষ। কাস্টমারের সাথে চুক্তি হয়, খোলার চান্স ৫০-৫০। খুল্লে ১০ হাজার দিতে হবে। আর না খুল্লে শুধু তাদের সার্ভিস চার্জ এক দেড় হাজার টাকা। আমার জানা মতে মাত্র দু জন লোক আই ক্লাউড লক খুলতে পারছে, তাও আবার ১০/১২ হাজার টাকা খরচ করে এবং সময় লেগেছে প্রায় ১ সপ্তাহ। মোদ্দা কথা, আপনার চোরটি খুবই ধুরন্ধর সে প্রায় অসাধ্য সাধন করেছে আইক্লাউড থেকে একাউন্ট মুছে ফেলতে পেরেছে। আরেকটা কথা ভাই, ঘুষ দেয়া ও নেয়া উভয়ই কিন্তু অপরাধ।
আপনার আইফোনের iOS version কত ছিলো? আপনি কি Find my iphone রেগুলার ব্যবহার করতেন? মানে জিপিএস ট্রাকিং, নোটিফিকেশন ইত্যাদি ঠিকঠাক মতো কাজ করে কিনা সেটা টেষ্ট করেছেন কখনো? আর আপনি বল্লেন আপনি লষ্ট মুডে দিয়েছেন। লষ্ট মুড আর মেমরি ইরেজ করা কিন্তু এক কথা নয়। চোরকে বার্তা পাঠানো ছাড়া লস্ট মুডের আর কোন কাজ নাই আসলে। চোর রিপ্লাই না দিলে আপনার ফাইনাল অস্ত্র হচ্ছে, মেমরী ইরেজ করে ফেলা।

এখন যে কোন এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে আইফোনে ফাইল ট্রান্সফার করুন খুব সহজে।

সবাইকে আমার সালাম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালোই আছি।
আজকে আপনাদের দেখাব কিভাবে আইফোন থেকে এন্ড্রয়েড এবং এন্ড্রয়েড থেকে আইফোনে দ্রুত যেকোন ফাইল ট্রান্সফার করা যায়।
প্রথমে আপনারা একেবারে আপডেট SHAREit এপটি আপনার আইফোন এবং এন্ড্রয়েড মোবাইলে ইন্সটল করুন।
ধরে নিলাম আপনি আপনার এন্ড্রয়েড থেকে আইফোন এ ফাইল ট্রান্সফার করবেন।
তাহলে প্রথমে আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে যে ফাইলটি পাঠাবেন তা সিলেক্ট করে SHAREit এর মাধ্যমে শেয়ার এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের ছবির মত দেখবেন।
এবার Apple লেখাটায় ক্লিক করুন। ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি হটস্পট লিংক আপনার জন্য তৈরি হবে।
এবার আপনার আইফোনের SHAREit ওপেন করে রিসিভ এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের ছবির মত দেখবেন।
ভয় পেয়ে গেলেন নাকি?  ভয় পাবার কিছু নাই। এখন আপনার কাজ হচ্ছে আপনার আইফোনের সেটিংস এ ক্লিক করে ওয়াইফাই চালু করা। চালু করার পর দেখবেন একটা লিংক দেখাবে (যেটা এন্ড্রয়েড SHAREit আপনার জন্য তৈরি করেছিল। ) এবার লিঙ্কের সাথে কানেক্ট করুন নিচের ছবির মত।
এবার আপনার এন্ড্রয়েড এর SHAREit এপে আপনার আইফোনের SHAREit শো করবে। নিচের ছবির মত।
এখন শুধু আইকনটাতে ক্লিক করুন আর ইচ্ছেমত ফাইল ট্রান্সফার করুন।
সবাই ভালো থাকবেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন।





................................................................................................................................................
Free Apple ID
ভাই-ব্রাদার,
আপনাদের মত IT mobile computer Tech আমারও fascination.
Tech ভালো লাগে। তাই আপনাদের promotional help আশা করছি।
আমি একটা iPhone ব্যবহার করি & PC. যারফলে iOS & Mac অপারেটিং অনেকটা বুঝি । আমার একটা BUSINESS আছে। Apple ID / iTunes ID sale Business। বেকার Student হিসাবে কিছু টাকা পাই । clickbd,বিক্রয় ডটকম, এখানেই ডটকম.-এ আমার ৪ খানা Add চলে । অনুরোধ এই যে, আপনাদের পরিচিত Apple (iphone, ipad, ipod) user'দের আমার কাছ থেকে apple user ID ক্রয় করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। যদিও জানি যে ব্যাপারখানা ১০০% বাণিজ্যিক। এখানে দেয়া হয়তো অমানাসই। তদুপরি অনেকের মত এটাই আমার BUSINESS.
আশা রাখি ভাই-ব্রাদরদের মতই promotional help পাবো।

আপনার আইফোন, আছে এপ্লিকেশন ডাউনলোড দিতে পাছেন না, মাত্র 200 টাকার বিনিময়ে আইডি খুলে নিন, 
২ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারী. ফোনের কোনপ্রকার Softwer সমস্যায় আমাকে জানাতে পারেন
ফোন-01711414951
So, I may your 100% trusted service provider.

ফেসবুকে আমাকে অনুসরণ করুন: https://www.facebook.com/rajuahmed431

Thank you.

আইফোনের যে অভূতপূর্ব ফিচারগুলোর কথা বেশীরভাগ লোকই জানেন না…


আজ আমরা আইফোনের কিছু বিশেষ ফিচার/সার্ভিস সমন্ধে জানবো। আমি বাজী ধরে বলতে পারি, বাংলাদেশের বেশীভাগ আইফোন ব্যবহারকারীই এগুলো সমন্ধে জানেন না। অথবা জানলেও কখনো ব্যবহার করেননি। মজার ব্যাপার হলো, এর সবগুলোই একদম ফ্রি। এ্যাপেল কোম্পানি আপনার কাছ থেকে একটা পয়সাও খাবে না এই ফিচার/সার্ভিসগুলোর জন্য।
১) iMessage: এক বা একাধিক iOS 7 চালিত ডিভাইসের ভেতর আনলিমিটেড টেক্সট/এমএমএস, ছবি, ভিডিও এবং ভয়েস মেইল পাঠানোর পদ্ধতির নাম আইম্যাসেজ। শর্ত হচ্ছে, প্রতিটা ডিভাইসে আইম্যাসেজ অন করা থাকতে হবে, এবং প্রতিটা ডিভাইস যে কোন একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের অধীনে থাকতে হবে। (যদি ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক সুলভ না থাকে তো আইম্যাসেজ আপনার ফোনের সেলুলার নেটওয়ার্ক (মোবাইল অপারেটর) ব্যবহার করবে। সেক্ষত্রে আপনাকে সুযোগ দেয়া হবে সেলুলার নেট ইউজ করবেন কি করবেন না সেটা নির্ধারন করার, কারন সেলুলারে প্রতি ম্যাসেজে টাকা কাটবে। কিন্তু ওয়াই-ফাইতে একদমই ফ্রি।
ব্যবহারঃ ধরেন আপনার এবং আপনার স্ত্রী দুজনেরই আইফোন আছে। দুজনের অফিসেই ওয়াই ফাই আছে। এবং দুজনেই দুজনকে প্রচুর টেক্সট করেন। (বাইরের দেশে আমি প্রচুর ফ্রি এসএমএস পেতাম প্রতি মাসে, কিন্তু বাংলাদেশে এসে দেখি এখানে কোন ফ্রি এসএমএম নাই। সবই টাকা দিয়ে কিনতে হয়। ৫ টাকা দিয়ে রবির ১০০ sms কিনি তাও আবার মাত্র দুই দিন পর এক্সপায়ার হয়ে যায়! এই দেশের মোবাইল কোম্পানিগুলো যেভাবে টাকা আদায় করে পাবলিকের কাছ থেকে অন্য কোন উন্নত দেশের মোবাইল কোম্পানি সেগুলা চিন্তাও করতে পারবেনা) যাই হোক, এমবস্থায় আপনি যতক্ষন আপনার অফিসের ওয়াই ফাইয়ের আন্ডারে থাকবেন ততক্ষন বাংলাদেশের কোন মোবাইল অপারেটরকে একটা পয়সাও দিতে হবে না আপনার স্ত্রীকে sms পাঠানোর জন্য। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনার স্ত্রী সেটা পাবে সাধারন এসএমএসের মতই। মানে sms যেভাবে পাবেন, হুবহু একই ভাবে আইম্যাসেজও পাবেন।
যেভাবে আইম্যাসেজ সেটাপ করবেনঃ - এখানে ছবিসহ স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়া আছে। 
আর ভয়েস ম্যাসেজ পাঠানোর পদ্ধতি এখানে বর্ণনা করা হয়েছে
২) Facetime: এটা হুবহু আইম্যাসেজের মতই শুধু পার্থক্য হচ্ছে এটাতে ভিডিও কল করা যাবে। ভিডিও কোয়ালিটি নির্ভর করবে আপনার ওয়াই-ফাই নেট কতটা শক্তিশালি তার উপর। আমার ১ এমবিপিএস নেটে ফেসটাইমের ভিডিও কোয়ালিট মাথা নষ্ট করার মতো। বিস্তারিত জানতেঃhttps://www.apple.com/ios/facetime/
৩) AirDrop: দুটি iDevice এ কনটাক্টস, ফাইল, MP3 বা ভিডিও বা যে কোন ধরনের কনটেন্ট ব্লু টুথ দিয়ে শেয়ার করার জন্য এই ফিচারটি ব্যবহার করা হয়। তবে সীমাবদ্ধতা হলো, iPhone 5 থেকে শুরু করে এর পরের মডেল গুলোর জন্য এটা কার্যকর। বিস্তারিত জানতেঃhttp://support.apple.com/kb/ht5887
৪) AirBlue: আপনার আইফোন থেকে যে কোন ফোনে ব্লু টুথ দিয়ে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য এটি একটা থার্ডপার্টি এ্যাপ। তবে এটা ব্যবহারের জন্য আপনার আইফোনটি জেলব্রেক করতে হবে।
৫) AirPort: আপেল কোম্পানির বানানো একটা অত্যাধুনিক ওয়াই ফাই মডেম। এটি দিয়ে আপনার ল্যাপটপ, টেবলেট, আইফোন বা আইপ্যাডে ইন্টারনেট চালানো ছাড়াও বাড়তি কিছু কাজ করতে পারবেন যেগুলো বাজারের আর দশটা সাধারন মডেম করতে পারবে না। যেমনঃ আপনি বাসাজুড়ে ওয়্যারলেসলি মিউজিক স্ট্রিমিং করতে পারবেন, ওয়াই-ফাই প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করতে পারবেন, আপনার ওএসের ব্যাকাপ রাখতে পারবেন, শক্তিশালি ওয়াই-ফাই হাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এমনকি আপনার এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভ এটার সাথে কানেক্ট করে টিভিতে মুভি স্ট্রিমিংও করতে পারবেন।
এয়ারপোর্টের দামও খুব বেশী না, সবচেয়ে ছোটটার দাম বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৮ হাজার টাকা। বিস্তারিতঃ https://www.apple.com/compare-wifi-models/
৬) AirPlay: এয়ারপ্লে হচ্ছে iOS এর খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ফিচার। এটা দিয়ে আপনি টিভি বা পিসির মনিটরে আপনার আইফোন বা আইপ্যাডের স্ক্রিন লাইভ মিররিং করতে পারবেন। মানে পিসিতে আমরা যেমন মাঝে মাঝে ডুয়েল ডিসপ্লে ব্যবহার করি, এটা ঠিক সেরকমই। এর সুবিধা হলো, আপনার আইফোনের স্ত্রিন রেকর্ড করতে পারবেন এমনকি আপনি আইফোনে যা যা করছেন সেটা সরাসরি প্রজেক্টরে দেখাতেও পারবেন।  বিস্তারিত জানতেঃ https://www.apple.com/airplay/
চিত্রঃ আমি AirPlay ব্যবহার করছি।
উল্লেখ্য, আমার দেখা সেরা iOS game ইনফিটিনি ব্লেড ২ এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমব্যাট আমি এয়ারপ্লে দিয়ে রেকর্ড করে ইউটিউবে প্রচার করেছি। সেই ভিডিওগুলো এখানে থেকে দেখা যাবেঃ 
৭) iTunes Home Sharing: এর মাধ্যমে আপনি যে কোন গান বা মুভি আপনার আইফোনে না নিয়েও আইফোন দিয়ে শুনতে/দেখতে পাবেন। কি, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? বেশ, বিশ্বাস না হলে নিজেই চেষ্টা করেন দেখুন।
যা যা লাগবেঃ চারটা জিনিস লাগবে। একটা আইফোন, পিসিতে আইটিউনস, একটা আপেল আইডি আর একটা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক।
এবার আইটিউনস থেকে File > Home Sharing > আপেল আইডি দিয়ে লগিন করে Done এ ক্লিক করুন। এবার আপনার আইফোনের Settings > Music এবং Settings > Video তে গিয়ে ঐ একই আপেল আইডি দিয়ে লগ ইন করেন। এবার আইটিউনস খোলা রেখেই আইফোনের মিউজিক এবং ভিডিও এ্যাপসে যান। Music > More > Shared > আপনার লাইব্রেরি সিলেক্ট করুন। আমার আইফোনে আসে Proloy's Library. তেমনি ভিডিওতে গিয়ে Video > Shared. ব্যস। এবার দেখুন, যে গান বা মুভিগুলো আপনার আইফোনে নেই কিন্তু আইটিউনসে আছে, সেগুলো দিব্যি আপনি আইফোন থেকেই চালাতে পারছেন। আপনি যতক্ষন ঐ ওয়াই ফাই নেটওয়াকের অধীনে থাকবেন, ততক্ষন আর ওসব আইফোনে নিতে হবে না। এর সুবিধা হলো, আপনার আইফোনের মেমরি একদম ফুল হয়ে গেলেও আপনি নতুন নতুন ভিডিও বা গান আইফোন থেকে শুনতে পারবেন। যেমনঃ আমি প্রায়ই আমার আইপ্যাড দিয়ে মুভি দেখতে দেখতে অথবা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি। গান এবং মুভির সম্মিলিত সাইজ প্রায় দুই গিগা অথচ আমার আইপ্যাডে দুই গিগা জায়গা খালিও নাই।
৮) ধরুন আপনি বাসার ওয়াই ফাই দিয়ে প্রথমালোতে একটা আর্জেন্ট সংবাদ পড়ছেন। অথচ তাড়ার ভেতর আছেন। এখুনি বেরুতে হবে। আর্টিকেলটা বিশাল। শেষ করতে না হলেও ১৫-২০ মিনিট লাগবে। এত সময় আপনার হাতে নেই কিন্তু বাসে বসে অফিসে যেতে যেতে পড়তে পারবেন। কিন্তু আবার সেলুলার নেটও ব্যবহার করতে চাচ্ছেন না কারন ওতে বেশী টাকা কাটে। বা আপনার মোবাইলে ব্যালেন্সই নেই। তখন কি করবেন?
এই সমস্যার সমাধান খুবই সহজ। শুধু দুটি ফ্রি এ্যাপ আপনার আইফোনে ইনসটলড থাকতে হবে। ১. Chrome ব্রাউজার আর ২. Offline Reader নামের একটা ফ্রি এ্যাপ। ক্রোম এ্যাপটি আপনার পিসিতে থাকা ক্রোম ব্রাউজারের সাথে সিংক করে সেখানে খুলে থাকা সবগুলো ট্যাব আপনার আইফোনে নিয়ে আসবে এবং তারপর Offline Reader দিয়ে সেগুলোকে অফলাইনে পড়ার জন্য সেইভ করবেন। ব্যস হয়ে গেলো। এ্যাপ দুটো ইনসটল করা থাকলে সব মিলিয়ে বড় জোর মিনিট খানেকের মামলা! তারপর বাসে বসে পড়তে থাকুন আপনার আর্টিকেল যতক্ষন খুশী। দেশের জোচ্চর আর ডাকাত মোবাইল অপারেটরকে একটা পয়সাও দিতে হবে না নেটের জন্য।
বিঃদ্রঃ অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন এসব করতে জেলব্রেক করা লাগবে কিনা তাদের বলছি, আমি যে সব টিপস দেই, তার কোনটার জন্যই আপনার আইফোনকে জেলব্রেক করতে হবে না। যদি করতে হয়, তবে আমি অবশ্যই সেটা উল্লেখ করবো। যেমন ৪ নম্বরে করেছি। আর যদি উল্লেখ না করি, তবে ভাববেন জেলব্রেক লাগবে না।

আইফোনের একটি প্রয়োজনিয় টিপস নিয়ে নিন এখনি

আমি ভাল আছি  টেকটিউনসের সকল শুভাকাঙ্খীর দোয়ায় আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম আইফোনের
একটি প্রয়োজনিয় টিপস নিয়ে যদিও  আমি আইফোন ইউজার না কিন্তু আমি এটা জানি তাই সেয়ার করছি ব্যস এখন তাহলে আজকের বিষয়ের কথায় চলে যাই...............।
আগেই বলেছি আমি আইফোন ইউজার না কিন্তু এখন অনেই আইফোন ব্যবহার করেন আর আপনার এই পছন্দের প্রিয় মোবাইলটি যখন তখন চুরি হতে পারে চোরের হাতের নাগালে রাখা সত্তেত্ত আর
চোর বেটা মোবাইল চুরি করে সাথে সাথেই মোবাইল অফ করে দেয় যেন আপনি খুঁজে না পান বা এজন্য কল না দেন । কিন্তু যদি এমন করা যায় চোর সহজে পাওয়ার অফ করতে পারছেনা, কেমন হয় ?
অবশ্যই ভাল তাইনা । হুম আপনার জেইলব্রোকেন আইফোনে আপনি এই সেটিং টি সেট করে নিতে পারেন power
security টুইক এর মাধ্যমে । এতে আপনার দেয়া পাসওয়ার্ড ছাড়া কোনভাবেই ফোনের পাওয়ার অফ করা যাবেনা ।
কাজে আসলে জানাবেন কিন্তু ।


Wednesday, October 14, 2015

আপনার Apple Device টি তে ঝামেলাবিহিন ভাবে Photo,Vedio, Audio,Ringtone,Contacts Transfer করুন আপনার PC থেকে

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন।
আমরা যারা অ্যাপেল এর পণ্য Use করি যেমন iPhone, iPad তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হয় তা হল মনের ইচ্ছা মত গান, ভিডিও, ফটো , Contact, insert করতে পারিনা, তাই আজ আমি আপনাদের এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এলাম,   Software টির নাম  Wandershare TunesGo IOS Manager , বর্তমান বাজার মূল্য   39.95 $    কারোর যাচাই করার ইচ্ছা থাকলে এখানে ক্লিক করুন।
কিন্তু আমি আপনাদেরকে এটার Full Version দিব 
Download করতে এখানে ক্লিক করুন।
এর কিছু Screenshot নিচে দেয়া হল ।


এবার দেখাচ্ছি কিভাবে ফুল ভার্সন করবেন নিচের ScreenShot গুলু দেখুন।

বি দ্র: এটা Active করার আগে অবশ্যই আপনার Antivirus ১০ মিনিট এর জন্য Disable করে নিন।

প্রথমে RAR ফাইলটা extract করুন এমন পাবেন

এখান থেকে patch folder টি ওপেন করুন এমন পাবেন
এবার patch file টি তে ডাবল ক্লিক করুন এমন পাবেন
একটা CMD page open হবে ২/৩ বার প্রেস any key করে এমন পাবেন
C:\Program Files (x86)\Wondershare\TunesGo Retro  এই Path  টা ধরিয়ে দিন , এমন পাবেন

ব্যাস আপনার কাজ শেষ এবার Desktop থেকে Software টি Open করে দেখুন Full version হয়ে গেছে ।
এবার enjoy করুন ।
কোণও প্রকার বুঝতে সমস্যা হলে PLZ Comments করে জানাবেন ।


আইফোনে বাংলা টাইপ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি

আসসালামুয়ালাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমিও আপনাদের দোয়াই ভালো আছি (আলহামদুলিল্লাহ্‌)।
আজ আপনাদেরকে এমন একটি এপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যা দিয়ে আপনারা খুব সহজে আই-ফোনে বাংলা টাইপ করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে তাহলে জেনে নিই_
প্রথমে আপনার আইফোন থেকে App Store এ যান তারপর KeyNounce Bennglai লিখে সার্চ দিন। এবং যে এপস টি আসবে সেটি ইনস্টল করে নিন। ইনস্টল করা শেষ হলে সেটিং / settings এ যান সেখান থেকে General > Keyboard > Keyboards > Add New Keyboard নিয়ে সেখানে Bengali Transliteration-Keyboard সিলেক্ট করুণ এখন Bangali Translteration ক্লিক করে Allow Full Access টা Allow করে দিন।
উপরে ছবিতে দেখানো লাল চিহ্নের মত আইকন আসবে সেখানে ক্লিক করে বাংলা মুড অন করে নিন। বাজ এখন আপনার কাজ শেষ। এখন বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে বাংলায় এস, এম, এস, বা চ্যাটে মেতে উঠুন।
অবশ্যই এপসটি ডাউনলোড করার জন্য এপস স্টোরে আপনার একাউন্ট থাকতে হব এবং এপসটি ডাউনলোড করার সময় ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হবে। 
বিঃ দ্রঃ Apps টি ইনেস্টল করার পর ওপেন করলে বাংলা লেখার জন্য কি কি করতে হবে তা ভিডিও আকারে দেখা যাবে।

সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই চেক করে নিবেন

বাংলাদেশের বাজারে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনাটা বিরাট ঝুকিঁর ব্যাপার। একটু সাবধান না হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে অবধারিতভাবে ঠকতে হবে।  কারন আপনাকে কোন ধরনের ওয়ারেন্টি দেয়া হবে না, কোন মানি ব্যাক গ্যরান্টি পাবেন না। মানে কেনার সময় যা দেখার দেখে নিবেন, পরে আর কোন আপত্তি গ্রহন করবে না কেউ অবশ্য বসুন্ধরার দোকানগুলোতে নাকি ৬ মাসের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দেয়। তাই ওরা দামও বেশী রাখে।
ঢাকাতে বেশ কয়েকটা সংঘবদ্ধ চক্র আছে যারা শুধুমাত্র আইফোন চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সুতরাং সাবধান না থাকলে দেখা যাবে, কোন না কোন ফিচার কাজ করছে না বা আইফোন ক্লাউডে লকড। সবকিছু ঠিক থাকলেও দেখা যাবে ফোন চোরাই মাল।  তখন মান সন্মান নিয়ে টানাটানি এমনকি কপালের ফেড়েঁ পড়ে জেলের ঘানিও টানতে হতে পারে। তাই  ইন্টারনেট থেকে ঘাটাঁঘাটি করে আমার নিজের বানানো একটা চেক লিষ্ট দিলাম। আমার জানা মতে বাংলাতে, বিশেষ করে আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এই রকম লিষ্ট এর আগে কেউ দেয় নাই। অন্তত আমি গুগলে অনেক ঘেটেওঁ পাই নাই।
এই লিস্ট পুরোপুরিভাবে ফলো করতে পারলে ঠকার সম্ভবান নাই বল্লেই চলে।  শুধু একটা সেফটিপিন আর ইন্টারনেট একটিভ আছে এমন একটি মাইক্রো সিম সাথে করে নিয়ে যাবেন। এই দুইটা জিনিস আইফোন চেক করতে কাজে লাগবে। আইফোনের সাথে যদি বিক্রেতা ইয়ারফোন অফার না করে তবে একটা ইয়ারফোনও সাথে নিন।
কিনতে যাবার আগে যে মডেলের আইফোন কিনতে চান সেটার ফিচার এবং স্পেসিফিকেশনের ব্যাপারে খানিকটা ধারনা নিয়ে তারপর যান। আর বিক্রেতাকে প্রথমেই জিগেস করবেন তার সিমে নেট একটিভ আছে কিনা। না থাকলে আপনার সিম ভেতরে ভরে কাজ শুরু করেন।
১) iCloud Account Delete: আইফোন হাতে নিয়েই আগে দেখবেন যে আইক্লাউডে লকড কিনা। ঠিকানা: [settings > iCloud > কোন একটা ইমেইল ঠিকানা যদি এখানে দেখেন তাহলে বুঝতে হবে সেট লকড। সুতরাং আইফোন বুঝে নেবার আগে অবশ্যই বিক্রেতাকে বলবেন আপনার সামনে এই একাউন্টটা ডিলিট করে দিতে। সবার নীচে ডিলিটের অপশন আছে। যদি এটা বলতে ভুলে যান বা বিক্রেতা কোন কারনে ডিলিট না করেই আপনাকে ফোন গছিয়ে দেয় তাহলে বুঝবেন এই ফোনের কারনে অনেক ভোগান্তি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।]
২. Erase all content & Settings: কেনার আগে এটা করতে পারলে তো সব চাইতে ভালো হয়। ঠিকানা: Settings > General > একদম সবার নীচে Reset > Erase all content & Settings.
৩. Turn Find My iPhone off: উপরের যে কোনর একটা করতে পারলে এটা অটোমেটিক অফ হয়ে যাবে। আলাদা করে আর অফ করতে হবে না। এই এ্যাপ দিয়ে ফোন ট্র্যাকিং করা হয়। সুতরাং চোরাই মাল হলে আর এটা অন থাকলে আপনি মহাবিপদে পড়তে পারেন।
৪. HDD Capacity: কেনার আগে আইফোনের স্টোরেজ চেক করে নিবেন যে যত গিগা বিক্রেতা বলছে তত গিগা আছে কিনা। দেখা যাবে Settings > General > About ঠিকানায় গিয়ে।
৫. Exterior including Screws + Gevey SIM tray + Turbo Unlock: আইফোনের বাইরের আবরন বা খাপটা ভালো করে দেখবেন যে বড় ধরনের কোন স্ক্রাচ বা দাগ আছে কিনা। বিশেষ করে স্ক্রু গুলো চেক করে দেখবেন যে খোলা হয়েছে কিনা। খোলা হলে স্কুর মাথায় দাগ থাকবে। আর সিম ট্রে বের করে ভালো করে দেখবেন যে ট্রের উপরে কোন ছোট সার্কিট লাগানো আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে বুঝবেন এটা গেভে আনলক করা। ফ্যাক্টরি আনলক নয়। গেভে আনলক করা আইফোনের দাম কম। কারন আপনার সিমের অনেক নাম্বার গেভেতে কাজ করবে না, যেমন: মোবাইলের ব্যালান্স চেক করতে পারবেন না, সবচে বড় সমস্যা হলো, একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন ফোন আবার ফ্যাক্টরি লকড হয়ে গেছে। এই সমস্যা বেশী হয় ফোনের ওএস আপডেট দেবার পর। টারবো আনলকেও এই সমস্যা হয়। অবশ্য বিক্রেতা সাধারনত আগেই বলে দিবে আপনাকে যে ফোনটা টারবো বা গেভে আনলক কিনা।
গ্যাভে বা টারবো আনলক বা R-sim আনলক ইত্যাদি দুই নম্বরি আনলক পদ্ধতি সমন্ধে বিস্তারিত জানতে গুগলিং করে দেখুন।
৬. iTunes Log on with your own ID:  নিজের যদি এ্যাপেল আইডি থাকে, তবে বিক্রেতার সামনে সেটা দিয়ে লগ ইন করবেন। দরকার হলে একটা এ্যাপ নামিয়েও দেখবেন। (Battery Doctor নামে একটা ফ্রি এ্যাপ আছে। ওটা নামাতে পারেন। ওটা দিয়ে আইফোনের ব্যাটারির ১৪ গোষ্ঠির খবর নেয়া যায়। আইফোন ফুল চার্জ হতে কত সময় নেবে এবং কত সময় ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যাবে, সেটা এই এ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে।
৭. Data Syncing & charging at the same time: ভালো হয় সাথে করে একটা ল্যাপটপ নিয়ে যেতে পারলেও। তাহলে এই ফিচারটা চেক করে দেখা যায় যে আইফোনটি একইসাথে সিংক হচ্ছে আর চার্জ হচেছ কিনা। আর যদি একান্তই ল্যাপি না নিয়ে যেতে পারেন তো অন্তত পাওয়ার এডাপটার দিয়ে চার্জ করে দেখেন যে ফোন ঠিকমতো চার্জ হয় কিনা।
৮. Make a call: যে আইফোনটি কিনতে চাচ্ছেন সেখান থেকে ফোন করে কথা বলুন কারো সাথে। দেখুন মাইক্রোফোন আর সাউন্ড আউটপুট ঠিকমতো কাজ করে কিনা।
৯. Send a text: এসএমএস পাঠান।
১০. Headphone Jack: ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনে দেখুন ইয়ার ফোনের জ্যাক ঠিক আছে কিনা।
১১. Audio/Video: অডিও ভিডিও প্লেব্যাক চেক করুন।
১২. Still Picture/ Movie Recording: ক্যামেরা দিয়ে স্টিল ছবি তুলুন এবং ভিডিও করে দেখুন সব কাজ করে কিনা।
১৩. Voice Memo Recording: দেখুন আপনার ভয়েস রেকর্ড করা যায় কিনা। আইফোনে একটা বিল্ট ইন এ্যাপ থাকে এটার জন্য। নাম Voice Memo.
১৪.  ফোনের IMEI নাম্বার দিয়ে ফোনের বয়স চেক করুন। http://www.iphoneox.com  এই ওয়েব সাইটে যান। এরপর যে ফোন কিনতে চান সেটার IMEI নাম্বার দিয়ে দেখুন নীচের ছবিতে দেয়া তথ্য পাবেন।  প্রতিটি তথ্য খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং দেখবেন যে বিক্রেতার কথার সাথে সেগুলো মেলে কিনা। ফোনটি কবে কেনা হয়েছে একদম দিন তারিখসহ সব দেখতে পাবেন। IMEI নাম্বার পাওয়া যাবে Settings > General > About > নীচের দিকে IMEI নাম্বার আছে। সিম ট্রের সাথে IMEI নম্বর ম্যাচ করে কিনা চাইলে সেটাও চেক করে দেখতে পারেন। কারন আইফোন ৪ ও ৪ এসের সিম ট্রেতে আইএমইআই নাম্বার খোদাই করা থাকে। এর পরের সবগুলো মডেলে সেটের পেছনে পাবেন। ম্যাচ না করলে ভাববেন হয় চোরাই মাল নাহলে থার্ড পার্টি ফ্যাকটরি রিফারবিশড।
১৫: Charging with wall charger: ওয়াল চার্জার দিয়ে চার্জ হয় কিনা দেখুন। অনেক  আইফোন ল্যাপিতে চার্জ হয় কিন্তু ওয়াল আউটপুটে হয় না। তেমনি ভাইস ভার্সা।
 ‍
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ব্যাটারির শেষবার চার্জ টাইম আর বর্তমান চার্জ পার্সেনটেজ এদুটো আনুপাতিক হারে মিলিয়ে দেখবেন সব ঠিক আছে কিনা। ধরুন, ব্যাটারি ইউজ হচ্ছে ৩০ মিনিট ধরে অথচ স্ট্যান্ডবাই টাইম দেখাচ্ছে ১ ঘন্টারও কম সময়, তাহলে বুঝবেন ব্যাটারির আয়ু খুব বেশীদিন নাই। ঠিকানাঃ Settings -> General -> Usage.
১৬. লেটেস্ট ওএস আপডেট দেয়া আছে কিনা সেটা চেক করুন। অনেক সময় চোরাই মাল হলে চোর লেটেষ্ট আপডেট দিতে ভয় পায়/দিতে পারে না।
১৭. স্ক্রিনের বাইরে আংগুল দিয়ে টাচ করে দেখুন যে ডিসপ্লে ডিম হয়ে যায় কিনা।
১৮. ওয়াই ফাই-ব্লুটুথ: এই দুইটা ফিচার কাজ করে কিনা দেখবেন। আশে পাশে ওয়াই ফাই না থাকলেও সমস্যা নাই আপনি শুধু দেখেন যে এই দুটা অন হয় কিনা। কারন iOS 7 আপডেট দেবার পর হাজার হাজার আইফোনের ওয়াইফাই আর ব্লুটুথ ফিচার নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এবং এই কারনেও অনেকে তার আইফোনটি বিক্রি করে দিতে পারে। আর বিক্রেতার জন্য সুখকর ব্যাপার হলো, বেশীরভাগ লোকই আইফোন কিনার আাগে এই দুইটা ফিচার চেক করে দেখে না। আপনি এই ভুল করবেন না।
১৯. আইফোনের দুটো জাত আছে। GSM আর CDMA. আামর কাছে CDMA preferred. আরেকটা জাত আছে, চাইনিজ আইফোন। মানে এটা শুধুমাত্র চায়নায় বিক্রির জন্য আলাদা ভাবে এ্যাপল বানিয়ে থাকে। এইটাও কিনবেন না।
২০. পাওয়ার বাটন ঠিক মতো কাজ করে কিনা দেখবেন। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যবহারে পাওয়ার বাটন ঢিলা হয়ে যায় বা রেসপন্স করতে দেরী হয়।
২১. আইফোনের পাশে যে বাটনগুলো আছে, সেগুলো ভালো করে চেক করে দেখবেন সব ঠিক ঠাক মতো কাজ করে কিনা। বিশেষ করে সাইলেন্ট বাটনটা।
২২. আইফোনের ডেড পিক্সেলও চেক করতে পারেন হাতে সময় থাকলেঃ http://iphonedpt.awardspace.com/ এই সাইটে যাবেন আইফোন দিয়ে তারপর চেক করে দেখবেন স্ত্রিনে কোন কালো ডট দেখায় কিনা। এইটা অত জরুরী কিছু না।  কেননা অত্যন্ত রেয়ার কেসে আইফোন ডেড বা স্টাক (stuck) পিক্সেল থাকে।
আরেকটা কথা, আমি সব সময়ই জেলব্রোকেন ফোন কিনতে নিরুৎসাহিত করি। জেলব্রোকেনের অনেক সমস্যা সেটা নিয়ে আরেকদিন আলাদা করে টিউন দিবো।
কিভাবে বুঝবেন আইফোন জেইলব্রোকেন কিনাঃ
২১. আইফোনে সার্চ করে দেখুন  "cydia", "Absinthe", "winterboard" or "installous" নামে কোন এ্যাপ ইনসটল করা আছে কিনা। যদি থাকে তবে ভাববেন আইফোনটি জেলব্রেক করা। কিনবেন না। বা কিনতে চাইলেও দাম কম বলবেন।
সবশেষে কয়েকটা সাধারন টিপসঃ ক্যাশ টাকা নিয়ে যাবেন না।  ব্যাংকে টাকা রেখে এটিএম কার্ড নিয়ে যান। সাথে করে কাউকে নিয়ে যান। একা না যাওয়াই ভালো। ফোনের ছবি বিজ্ঞাপনে না দিলে সেটা সন্দেহজনক। বিক্রেতা বেশী তাড়াহুড়ো করলে ভাববেন কোথাও কোন ঘাপলা আছে। আপনি সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে দেখবেন। দরকার হলে আপনি আগে থেকে বলে নিবেন যে আমার আধা ঘন্টা সময় লাগবে আইফোন চেক করতে। বিক্রেতা যদি এতে রাজী না হয় তবে সিটিএন বলে চলে আসুন। বিক্রয়.কম বা এখানেই.কম এ আইফোন হট কেকের মতো বিক্রি হয় এবং অবাক করা বাপার, বেশীরভাগই থাকে উত্তরার। এটা কেন কে জানে?
কেনার পর বিক্রেতার কাছ থেকে অবশ্যই তার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিবেন। আপনার কাছে সে আইফোন বিক্রি করেছে সেটাও সেখানে উল্লেখ থাকবে ও তার স্বাক্ষর থাকবে তারিখসহ। ভোটার আইডি কার্ড তার কিনা সেটা যথাসম্ভব যাচাই করে নিন। কৌশলে তার বাবা-মার নাম আর জন্মতারিখ জিগেস করে জেনে নিন এবং আইডি কাডের সাথে তা মিলিয়ে নিন। আইডির ছবির সাথে তার চেহারার মিল আছে কিনা দেখুন। কেননা, বিক্রেতা চোর হলে অন্য কারো ভোটার আইডি গছিয়ে দেয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। সবচাইতে ভালো হয়, তার বাসাটা চিনে রাখতে পারলে। তাই প্রথমেই চেষ্টা করবেন তার বাসায় গিয়ে ফোন দেখার।
কিছু মিস গেলে টিউমেন্টে জানাবেন প্লিজ। আমার  এই টিপসগুলো পড়ে কেউ যদি উপকার পান বা কারো যদি কোন ফিডব্যাক থাকে তবে জানাতে দ্বিধা করবেন না, খুব খুশী হবো। ধন্যবাদ।
 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. free apple id - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger